সাধারণ মানুষ কেন হেনস্তার শিকার হবে? কোনও ঘটনার প্রতিকার চাইতে গিয়ে তাঁদের নাজেহাল হতেই বা হবে কেন? প্রশ্ন খোদ আদালতের। বিরক্ত গুজরাট হাই কোর্ট প্রশ্ন তুলল সে রাজ্যের পুলিশ কমিশনারদের নিয়েই। আসুন শুনে নেওয়া যাক, ঠিক কেন এমন অসন্তুষ্ট আদালত।
সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে পুলিশ কমিশনাররা। ঠিক যেন ভগবান! এমন অভিযোগ কোনও বিরোধী দলের কিংবা বিরোধী নেতার নয়। সে রাজ্যের পুলিশ কমিশনারদের নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল খোদ আদালত।
আরও শুনুন: আদিবাসীরা কি বনবাসী! কেন নিজেকে ‘ওবিসি’ বলেন মোদি? রাহুলের প্রশ্ন-বাণে বিদ্ধ প্রধানমন্ত্রী
ঘটনার সূত্রপাত এক অভিযোগকে কেন্দ্র করে। এক দম্পতি গভীর রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। ট্রাফিক পুলিশদের হাতে তাঁদের হেনস্তার শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, পথের নিয়ম ভাঙার দাবি তুলে তাঁদের কাছে ২ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। পরে তা ৬০ হাজার টাকায় এসে নামে। গভীর রাতেই এটিএম থেকে সেই টাকা তুলে দেওয়ার পর তবে নিষ্কৃতি মেলে। এই মারাত্মক অভিযোগকে কেন্দ্র করেই একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। তারই শুনানিতে গুজরাট হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করল।
আরও শুনুন: দীপাবলির আগে কর্মীদের গাড়ি উপহার! তাক লাগাল হরিয়ানার সংস্থা
এর আগে এই ইস্যুতে আদালত বেশ কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছিল। আদালত জানিয়েছিল, একটি হেল্পলাইন নম্বর থাকা উচিত। যদি পুলিশের বিরুদ্ধেই মানুষের কোনও অভিযোগ থাকে, তা যেন তাঁরা জানাতে পারেন। এবং সেই নম্বরের প্রচার হওয়া জরুরি। যাতে কোথায় কীভাবে অভিযোগ জানানো হয়, তা সকলের কাছে স্পষ্ট হয়। তবে, এই নির্দেশ পালন নিয়েই সন্তুষ্ট নয় আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ, যেভাবে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হয়েছে তা যথাযথ নয়। আর তাই এই সংক্রান্ত শুনানিতে রীতিমতো তুলোধনা করে আদালত। আদালতের বক্তব্য, সাধারণ মানুষ কি একটা অভিযোগ জানাতে গিয়ে অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে? পুলিশ কমিশনার এবং জেলাশাসকরা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। তাঁদের ব্যবহার যেন ঈশ্বরের মতো। ক্ষুব্ধ আদালত জানায়, স্বীকার করা না হলেও এগুলোই বাস্তব ঘটনা।
সাধারণ মানুষের কাছে পরিষেবা আরও ব্যাপক ভাবে পৌঁছে দিতে হবে। আর তাই অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থাও আরও স্পষ্ট এবং স্বচ্ছ করতে হবে। এই ইস্যুতে গুজরাট প্রশাসনকে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।