যুগপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণের উদার অমৃতকথা আমাদের পৌঁছে দেয় জীবনের সার্থকতায়। ঈশ্বরে মন রেখেই সাংসারিক কর্তব্যপালনের যে অমোঘ পথ তিনি দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন, তাই-ই আজও আমাদের পাথেয়। সেই কথাই উঠে এসেছে সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের ‘পরমপদকমলে’ গ্রন্থে। আসুন শুনে নিই সেই অমৃতপ্রসঙ্গ।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা: উদ্বোধন কার্যালয়
সংসারে অতিরিক্ত জড়িয়ে পড়লে ঈশ্বরের থেকে দূরে যেতে হয়, এমনটাই মনে করতেন শ্রীরামকৃষ্ণ। ঠাকুরের সেই দর্শন খুব প্রাঞ্জল ভাবে সকলের সামনে তুলে ধরেছেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিখ্যাত বই ‘পরমপদকমলে’-তে ‘পঞ্চভূতের ফাঁদে ব্রহ্ম পড়ে কাঁদে’ শীর্ষক অধ্যায়ে তিনি লিখেছেন,
আরও শুনুন: পরমপদকমলে: পূজার দেখনদারি নয়, মনের ঘরে প্রার্থনায় জোর দিয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ
একালের ভাষায় আমরা যাকে বলি জরুকা গোলাম। আপনার সেই বারশো ন্যাড়া আর তেরশো নেড়ীর গল্প। নিত্যানন্দ গোস্বামীর ছেলে বীরভদ্রের তেরশো ন্যাড়া শিষ্য ছিল। তিনি ভাবতে লাগলেন : “এরা সিদ্ধ হলো, লোককে যা বলবে তাই ফলবে। যেদিক দিয়ে যাবে সেই দিকেই ভয়; কেননা লোকে না জেনে যদি অপরাধ করে, তাদের অনিষ্ট হবে।” বীরভদ্র তাঁদের জন্যে মেয়েছেলের ফাঁদ পাতলেন। একশ বেরিয়ে গেল কেটে। বারশোর জুটল সেবাদাসী। মেয়েমানুষ সঙ্গে থাকাতে আর সে বল রইল না, কেননা সে সঙ্গে স্বাধীনতা লোপ হয়ে যায়।