ঠাকুর দেখতে যাচ্ছেন, একটু না সাজলে কি চলে! এদিকে মেকআপ করলেই ব্রণর ভয়। তাহলে উপায় কী? চিন্তা নেই সাধারণ কিছু ঘরোয়া টোটকাতেই হবে কাজ। ঠিক কী করবেন? আসুন শুনে নিই।
ব্রণ মানেই সমস্যা। আর তা যদি হয় পুজোর সময় তাহলে তো কথাই নেই। ঠাকুর দেখার আনন্দটাই মাটি হবে। মেকআপ করে কিছুটা ম্যানেজ দেওয়া গেলেও, তার জেরে ব্রণ সমস্যা আরও বাড়তে পারে। কারও ক্ষেত্রে ব্রণ হয়েইছে স্রেফ মেকআপ করার জন্য। কিন্তু ঠাকুর দেখতে যাওয়ার সময় না সাজলেই নয়। সেক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে সাধারণ কিছু ঘরোয়া টোটকা।
আরও শুনুন: পুজোয় চাই নতুন জুতো, কিন্তু পায়ের ফোসকা আটকাবেন কীভাবে?
তবে তার আগে জেনে নিতে হবে, ব্রণ হয় কেন?
আসলে এই ত্বকের সমস্যার সঙ্গে যোগ থাকতে পারে পেটের। ঠিকমতো পেট পরিষ্কার না হলে, কিংবা হজমের সমস্যা থেকে হতে পারে ব্রণ। কিংবা মুখে যদি নিম্নমানের কোনও বাজারি ক্রিম মাখা হয় তাহলেও চামড়ায় ফুসকুড়ি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একইভাবে মেক আপ করলেও হতে পারে সমস্যা। তাই ব্রণ রুখতে সবার আগে খেয়াল রাখুন রোজকার খাদ্যাভাসের দিকে। প্রচুর পরিমানে জল খান। এতে হজমের সমস্যা মিটবে। সেইসঙ্গে চেষ্টা করুন মেডিকেটেড ক্রিম ব্যবহার করার। মেকআপ করলেও সেখেনে কমদামি বাজারি সামগ্রী ব্যবহার করবেন না। কিন্তু পুজোর সময় সেসব দিকে খেয়াল করেন না অনেকেই। সেক্ষেত্রে যথাসময়ে এসে হাজির হয় ব্রণ। আর তখনই কাজে আসতে পারে এইসব ঘরোয়া টোটকা।
আরও শুনুন: পুজোয় সারারাত গাড়ি চড়ে ঘোরার প্ল্যান! মোশন সিকনেস হলে কী করবেন?
তালিকায় সবার উপরে রয়েছে চন্দন বাটা। মূলত পুজোয় ব্যবহার করা এই ভেষজ সুগন্ধী ব্রণ তাড়ানোর মোক্ষম হাতিয়ার হতে পারে। যে অংশে ফুসকুড়ি হয়েছে সেটা সবার আগে ধুয়ে নিন। এরপর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে, সেখানে লাগিয়ে দিন চন্দনের প্রলেপ। সম্ভব হলে ঘুমানোর আগে এই কাজটি করুন। সারারাত ব্রণয় চন্দনের প্রলেপ থাকলে কাজ হবে দ্রুত। চাইলে চন্দনের সঙ্গে পাতি লেবুর রস মেশানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রলেপ লাগানোর পর ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিলেই হবে। ব্রণর কমাতে কাজ দিতে পারে বরফও। নিয়ম করে অন্তত ২০ সেকেন্ড ব্রণর উপর বরফ ঘষা যেতে পারে। সরাসরি না হলে রুমালে ভরে নিতে পারেন। তবে এই পদ্ধতি অনেকেই ঠিক মান্যতা দেন না। তবে গ্রিনটি ব্যবহার করে ব্রণ কমানো যেতেই পারে। প্রথমে ব্যবহার করা গ্রিন টি ব্যাগ খানিক ক্ষণ ফ্রিজ়ে রেখে দিন। এ বার ব্রণের জায়গায় অ্যালো ভেরা জেল লাগিয়ে তার উপর ঠান্ডা গ্রিন টিয়ের ব্যাগ চাপা দিন। রাতে ঘুমোনোর আগে কিছুক্ষণের জন্য এমনটা করে রাখুন। আর এতেই সকালের মধ্যে কমে যেতে পারে ব্রণ। তবে একটু নিয়ম মেনে চললেই ব্রণ আটকানোও সম্ভব। তাই ঠাকুর দেখার আনন্দে শরীরের কথা ভুলে না গিয়ে, দুদিকে সামঞ্জস্য রেখে আনন্দ করাই শ্রেয়।