ঠিক যতক্ষণ ধরে সঙ্গম স্থায়ী হওয়ার কথা, তা হচ্ছে না। অনেকেই ভুক্তভোগী এই সমস্যার। হস্তমৈথুনের নেট প্র্যাকটিসেই নাকি এ সমস্যা মিটতে পারে। কীভাবে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
যৌনতায় তেমন তৃপ্তি নেই। কেননা তৃপ্তিতে পৌঁছনোর আগেই ফুরিয়ে যাচ্ছে সঙ্গমের সময়সীমা। চিকিৎসার পরিভাষায় যাকে বলা হয়, প্রিম্যাচিওর ইজেকুলেশন। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বীর্যপাত। এ অবশ্য নতুন বিষয় নয়। বহু পুরুষই নিত্য ভোগেন এই সমস্যায়।
আরও শুনুন: মরেও শান্তি নেই! এইসব দেশে কেউ মারা গেলেও দিতে হয় মোটা টাকা জরিমানা
তবে, এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভাল, এই সময়সীমা ঠিক কতখানি? ২০০৫-এ এ ব্যাপারে একটা সমীক্ষা হয়। তাতে জানা গিয়েছিল, গড় সময়সীমা মোটামুটি ৫.৪ মিনিট। ২০১৪-তে বিশেষ এক বইতে এই প্রসঙ্গই উঠে আসে। সেখানে বলা হয়, অধিকাংশ পুরুষের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা ২ মিনিট। বলা হয়ে থাকে যে, যোনিতে পুরুষাঙ্গের প্রবেশের এক মিনিটের মধ্যেই যদি বীর্যস্খলন হয়ে যায়, তবে তা রীতিমতো সমস্যার। এবং এ থেকে মুক্তির নানা উপায়ও আছে।
অনেক পুরুষই ভেবে থাকেন যে, হস্তমৈথুনের কারণেই বোধহয় এই সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের নিশ্চিতই কিছু খারাপ দিক আছে। তবে এই প্রিম্যাচিওর ইজেকুলেশনের ক্ষেত্রে সহায় হতে পারে হস্তমৈথুনের অভ্যাস। অর্গ্যাজমকে প্রলম্বিত করার অনেকরকম উপায় আছে, তার মধ্যে এটি একটি। এই পদ্ধতিতে বলা হয় যে, হস্তমৈথুনের সময় যখন অর্গ্যাজমের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে কেউ মনে করেন, সেই সময় হস্তমৈথুন প্রক্রিয়াটিই থামিয়ে দিতে হবে। এই অভ্যাসের দরুণ মস্তিষ্কের কাছে বার্তা পৌঁছায়। অর্গ্যাজমের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে। এর ফলে সঙ্গম প্রক্রিয়াও দীর্ঘ হয়।
আরও শুনুন: বীর্য নিয়ে গিয়েছে ভিনগ্রহীরা! পৃথিবীর বাইরেও সন্তান জন্মানোর আশায় দিন গুনছেন ব্যক্তি
তাই হস্তমৈথুনের দোষেই যে সঙ্গমের সময় কমে, ব্যাপারটা তা ঠিক নয়। তবে, প্রিম্যাচিওর ইজেকুলেশনের সমস্যা কারও থাকলে লাইফস্টাইলেও অনেক পরিবির্তন আনতে হয়। নেশা থেকে শুরু করে স্ট্রেস নেওয়া, নানা বিষয় থেকেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর যেহেতু তা যৌনতার মতো বিষয়ের সঙ্গে জড়িত, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সবথেকে জরুরি পদক্ষেপ।