সফল্ভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু ছুঁয়েছে ভারত। এবার লক্ষ সূর্য। ইসরোর নতুন মিশন আদিত্য এল ১। শীঘ্রই সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দেবে ইসরোর এই বিশেষ মহাকাশ যান। উৎক্ষেপণের আগে সেই সম্পর্কে কিছু খুঁটিনাটি তথ্য দিলেন ইসরো প্রধান। ঠিক কী জানাচ্ছেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
হলিউড সিনেমার থেকেও কম খরচে চাঁদের মাটি ছোঁয়ার সাক্ষী থেকে গোটা বিশ্ব। আর এমনটা সম্ভব করে দেখিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তবে সেই চমক এবার আরও বাড়তে বাধ্য। জানা গিয়েছে, চন্দ্রযান ৩(Chandrayaan 3) এর থেকেও কম খরচে হতে চলেছে আদিত্য এল(Aditya-L1) মিশন। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এল সেই অভিযানের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির খুঁটিনাটি। আর তা জানিয়েছেন খোদ ইসরো প্রধান।
আরও শুনুন: Chandrayaan 3: ‘স্রেফ একটা সমস্যা মিটলেই মঙ্গলের মাটি ছোঁবে ভারত’, ইসরো প্রধানের ইঙ্গিত কোন দিকে?
চন্দ্রজয়ের পর এবার সূর্যে পাড়ি দিতে চলেছে ভারত। আদিত্য এল-১ নিয়ে ইতিমধ্যেই চরম উত্তেজনায় ইসরোর বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, বিশেষ মহাকাশযানটির উৎক্ষেপণ সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ। শ্রীহরিকোটার উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে পিএসএলভি রকেটের মাধ্যমেই মহাশূন্যে পাড়ি দেবে আদিত্য এল১(Aditya-L1)। অন্তত ১২৭ দিন ধরে সূর্যের কক্ষপথের দিকে এগোবে এই যান। এই সময়ের মধ্যে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে আদিত্য এল১। তারপরেই পৌঁছে যাবে সূর্যের উপবৃত্তাকার কক্ষপথে। সেখানে পৌঁছে এল১ পয়েন্ট থেকে সূর্যের নানা কাজ নিরীক্ষণ করবে ইসরোর যান। মাধ্যাকর্ষণ, সূর্যের আলোর জীবনীশক্তি-সহ নানা বিষয়েই পরীক্ষা চালানো হবে। আপাতত উৎক্ষেপণের জন্য সবদিক থেকেই তাঁরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সোমনাথ। তাঁর কথায়, স্যাটেলাইট , রকেট সহ যাবতীয় যন্ত্রপাতিও বারবার পরীক্ষা করা দেখা হচ্ছে। এক পর্ব রিহার্সালও করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। ইসরোর সকলেই আশা করছেন নির্বিঘ্নে সূর্যের দেশে পাড়ি জমাবে আদিত্য এল(Aditya-L1)।
আরও শুনুন: চাঁদ ছোঁয়ার স্পর্ধায় শরিক, একটা ‘কালো’ ঘটনা কি মুছতে পারে যাদবপুরের ‘আলো’?
সর্বপ্রথম সরকারিভাবে এই সংক্রান্ত গবেষণার কাজ শুরু করেছিল মার্কিন গবেষণাগার ‘নাসা’। তবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের অনেকেই দাবি করেন, এই ভাবনা অনেক আগে থেকেই তাঁরা ভেবেছেন। তবে সামর্থ ছিল না বলেই কোনও পদক্ষেপ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে চন্দ্রযান ৩(Chandrayaan 3)-এর সাফল্যে সেই ছবি অনেকটাই বদলেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন বিষয়ে ইসরোর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তাই আদিত্য এল অভিযান নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এই আবহে সামনে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এমনিতেই চন্দ্রযানের খরচ শুনে চোখ কপালে উঠেছিল প্রথম বিশ্বের অধিকাংশ বিজ্ঞানীর। সে দেশে একটা সিনেমা বানাতেই নাকি খরচ হয় এর থেকে বেশি। ইসরোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চন্দ্রযান ৩-এর বাজেট ছিল প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা। তবে আদিত্য এল ১(Aditya-L1) এর খরচ নাকি তার থেকেও কম। জানা যাচ্ছে, এই অভিযানে ইসরোর খরচ হচ্ছে ৪০০ কোটি টাকা। যদিও দুই অভিযানের রকম দুই ধারার। তাই অনেকেই খরচের দিক দিয়ে এদের তুলনা টানতে চাননি। তবে অনেকেই এই বাজেট শুনে রীতিমতো চমকে উঠেছেন। আপাতত চন্দ্রযানের মতোই সফল্ভাবে উৎক্ষেপণ হোক আদিত্য এল-এর এমনটাই চাইছেন গোটা দেশের মানুষ।