রাস্তায় চলার সময় কুড়িয়ে পেয়েছেন টাকা। হয়তো সামান্যই। কিন্তু কোনও পরিশ্রম না করেই এই টাকা পেয়েছেন। খুশি হয়ে পুরোটাই খরচ করে ফেললেন। কিংবা হয়তো জমিয়ে রাখলেন। কিন্তু জানেন কি এই কুড়িয়ে পাওয়া টাকাই বদলে দিতে পারে আপনার ভাগ্য! শাস্ত্রমতে কী করা উচিত এই টাকা নিয়ে? আসুন শুনে নিই।
চলার পথে টাকা কুড়িয়ে পাওয়া কোনও নতুন ঘটনা নয়। অনেকেরই এই অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু এই টাকা নিয়ে করা উচিত তার সঠিক ধারণা কারও নেই বললেই চলে। বাস্তুশাস্ত্রে জীবনের এই সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয়ের বাখ্যা মেলে। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। কুড়িয়ে পাওয়া টাকা নিয়ে কী করা উচিত, তা বিস্তারিত বাখ্যা দেয় শাস্ত্র।
আরও শুনুন: ঝুলন সাজানোর নেপথ্যে লুকিয়ে ভাগ্য বদলের চাবি, কীভাবে পালন করবেন এই উৎসব?
শাস্ত্রে টাকার উল্লেখ স্রেফ লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে নয়। একে সৌভাগ্যের প্রতীক বলেও মনে করা হয়। লক্ষ্মী পুজোর অর্ঘ্য হিসাবে টাকা দেওয়ার চল রয়েছে। বিশেষত অবাঙালিরা পুজোর স্থানে অবশ্যই টাকা রাখেন। ধনতেরসের দিন কুবের পুজো হয়। সেখানেও টাকা ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে। অনেকেই মাটিতে টাকা পড়লে তা প্রণাম করে তুলে রাখেন। সেই টাকা রাস্তায় পড়ে থাকলে কী করা উচিত, তার শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা থাকাই স্বাভাবিক। বাস্তুমতে এই টাকা কখনই খরচ করতে নেই। আবার তা কাউকে সরাসরি দানও করতে নেই। যত্ন করে নিজের কাছে রেখে দিতে হয়। মানিব্যাগে রাখা যেতেই পারে। তবে বাড়িতে ঠাকুরের স্থানে তুলে রাখলে সবথেকে মঙ্গল। একইসঙ্গে এ প্রসঙ্গে আরও কিছু ব্যাখ্যা দেয় শাস্ত্র। তা হল কোন সময় টাকা কুড়িয়ে পাচ্ছেন সে বিষয়টি। শাস্ত্রমতে, কোনও কাজে যাওয়ার সময় যদি রাস্তায় টাকা পড়ে থাকতে দেখেন, তাহলে সেই কাজে সফল হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। সেক্ষেত্রে টাকাটি তুলে যত্ন করে নিজের সঙ্গে রাখুন। তারপর নির্দিষ্ট কাজে যান। আবার কেু যদি ফেরার পথে টাকা কুড়িয়ে পান, তাহলে তা শুভ বার্তার ইঙ্গিত দেয়। এই টাকা সঙ্গে রাখলে খুব শীঘ্রই আপনার অর্থভাগ্য বদলে যেতে পারে। অজানা জায়গা থেকে আসতে পারে উপার্জনের সুযোগ।
আরও শুনুন: ‘কালো মেয়ে’র গায়ের রং সবুজ! কী গল্প লুকিয়ে এই বিগ্রহের নেপথ্যে?
তবে কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ভালো কাজে ব্যবহার করাও শুভাশুভ বলেই মনে করেন অনেকে। সরাসরি দান না করে, ওই টাকা ব্যবহার করে কোনও জিনিস কিনে তা দান করা যেতেই পারে। বিশেষত ওই কুড়িয়ে পাওয়া টাকা দিয়ে যদি কোনও অভুক্তকে খাওয়ানো হয় তবে তা বিশেষ মঙ্গলের। অনেকেই আবার ওই টাকা মন্দিরে দান করে থাকেন। শাস্ত্রমতে এতেও বিশেষ ভুল নেই। তবে নিজের কাছে রাখাই সার্বিক ভাবে শুভ। এমনটাই দাবি বাস্তুশাস্ত্রের।