গোটা বিশ্বের ব্যবসায়ী মহলে পরিচিত মুখ। ধনীদের তালিকাতেও তাঁর নাম প্রথম দিকেই। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে একাধিক বাড়ি। কিন্তু এই ধনকুবের থাকেন ভাড়া নেওয়া ফ্লাটে। যার প্রতি মাসে ৫ কোটি টাকা দিতে হয় তাঁকে। কার কথা বলছি? আসুন শুনে নিই।
পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে বাড়ি বানানোর ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। বলা ভালো, প্রথম বিশ্বের প্রায় সব দেশেই তাঁর একাধিক বাড়ি রয়েছে। কিন্তু সেগুলোর কোনওটাতেই তিনি থাকেন না। তাঁর বর্তমান ঠিকানা একটি ভাড়ার ফ্ল্যাট। একেবারে সাদামাটা সেই ফ্ল্যাটে নেই কোনও আসবাবও। কিন্তু তার ভাড়া মোটেও সাধারণ নয়। প্রতি মাসে ৫ কোটি টাকা ভাড়া দিয়ে ওই ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি।
আরও শুনুন: মল-মূত্র হোক কি ঋতুরক্ত, চাঁদে বর্জ্য ত্যাগের উপায় কী? সমাধান খুঁজেছে নাসা-ও
ভাবছেন তো, এমনটা নেহাতই বোকামি। কিন্তু বহুজাতিক সংস্থা আমাজনের মালিক, জেফ বেজোস এমনটা মনে করেন না। বলা বাহুল্য, প্রতি মাসে ৫ কোটি টাকা তাঁর কাছে কিছুই না। এমনটা মনে করেন ব্যবসায়ী মহলের অনেকেই। বর্তমানে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি। কিন্তু এমন ধনকুবের হয়েও তিনি থাকেন একটা ভাড়ার ফ্ল্যাটে। ক্যালিফোর্নিয়ার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই ফ্ল্যাটটিতে কোনও আসবাস নেই। স্রেফ ফাঁকা ফ্ল্যাটেরই মাসিক ভাড়া ৫ কোটি টাকা। তবে ফ্ল্যাটটি মোটের ওপর বেশ বড়সর। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বর্গফুটের এই ফ্ল্যাটেই স্ত্রীর থাকেন জেফ। এছাড়া ফ্ল্যাটের সঙ্গেই রয়েছে সুইমিং পুল, টেনিস কোর্ট কিংবা এই ধরনের যাবতীয় বিনোদনের ব্যবস্থা। নেই শুধু কোনও ফার্নিচার। বর্তমানে বেশিরভাগ ভাড়া বাড়িতেই কিছু না কিছু আসবাব থাকে। বিশেষত এমন বিলাসবহুল ফ্ল্যাট হলে তো কথাই নেই। কোনও ক্ষেত্রে যদি আসবাব ছাড়াই কেউ বাড়ি ভাড়া দেন, তাহলে তার ভাড়াও কিছুটা কম হয়। কিন্তু সেসব তো সাধারণ মানুষের জন্য। জেফ বেজোসের মত ধনকুবেরের ক্ষেত্রে কি আর এমন নিয়ম খাটে! তাই আসবাব ছাড়াই ওই ফ্ল্যাটের ভাড়া হয়েছে এত বেশি। যদিও এই আসবাব না থাকার বিষয়টাও জেফ-এর ঠিক করে দেওয়া। অর্থাৎ তিনিই চেয়েছিলেন আসবাব ছাড়া ফ্ল্যাটটা নিতে চেয়েছিলেন। কারণ তাঁর নিজেরই এত আসবাব রয়েছে, ফ্ল্যাট ফাঁকা না থাকলে সেসব রাখার জায়গা হত না।
আরও শুনুন: Chandrayaan 3: চাঁদে অভিযানের আগে টানা কাজ, কী খান? জবাব দিয়েছিলেন ISRO-র বিজ্ঞানীরা
এবার প্রশ্ন হচ্ছে এমনটা তিনি করেছেন কেন?
যতই টাকা থাকুক, নিজের বাড়ি ছেড়ে ভাড়া বাড়িতে কেন থাকেন জেফ, এই প্রশ্ন রয়েছে অনেকেরই। আসলে এখানে স্রেফ কয়েক মাসের জন্য থাকছেন জেফ ও তাঁর পরিবার। কারণ, পাকাপাকি ভাবে থাকার জন্য প্রায় কয়েকশো কোটি খরচ করে এক প্রাসাদ বানাচ্ছেন বেজোস। যা তৈরি হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। সেখানে যাওয়ার আগে এই ফ্ল্যাট ঠিকানা হয়েছে তাঁর। কিন্তু সেক্ষেত্রেও তিনি অন্য কোনও বাড়িতে থাকতে পারতেন। তা না করে এই ভাড়া বাড়ি বেছে নিয়েছেন জেফ। অনেকেই মনে করছেন, যার অন্যতম কারণ হতে পারে ওই ফ্ল্যাটের অবস্থান। শহরের এমনই জায়গায় ওই বাড়িটি অবস্থিত, যে কোনও জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা হবে জেফ-এর। তবে তিনি নিজেও এমনটা মনে করেন কি না বলা মুশকিল। তবে এমন কাণ্ড যে স্রেফ তাঁর মতো ধনকুবেরদের পক্ষেই ঘটানো সম্ভব তা মনে করছেন প্রায় সকলেই।