এ দেশে কোনও রাজা নেই। ক্ষমতার শীর্ষে রয়েছেন রানি। এমনকি এদেশের কোনও পুরুষই স্বাধীন নন। মহিলারাই ঠিক করেন তাঁদের গতিবিধি। আর এমনটা না করলে দেশের নাগরিকত্বই পান না মহিলারা। কোন দেশে রয়েছে এমন নিয়ম? আসুন শুনে নিই।
স্রেফ বাড়িতে নয়। গোটা দেশেই শেষ কথা বলেন মেয়েরা। আইনকানুন ঠিক করা থেকে আরম্ভ করে দেশের যাবতীয় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেন খোদ রানি। গোটা পৃথিবীর পুরুষকেন্দ্রিক সমাজের কাছে ব্যতিক্রম পাশ্চাত্যের এই দেশ।
আরও শুনুন: এই নিয়ে চারবার! ৭০ বছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বিয়ের আসরে ১১০ বছরের পাত্র
গল্প হোক বা সিনেমা, সমাজের চিরাচরিত ছবিটা পুরুষতান্ত্রিক রূপেই ধরা দেয়। এখনও অনেকের কাছেই নারীর শিক্ষিত হওয়া ‘বিশেষ’ ব্যাপার। অথচ এমন কোনও ক্ষেত্র নেই যেখানে মহিলারা তাঁদের কৃতিত্বের ছাপ ফেলতে পারেনি। বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে এই ছবি ধরা পড়লেও, ব্যতিক্রম পাশ্চাত্যের এই দেশ। এখানেও কার্যত স্বৈরতন্ত্রই প্রতিষ্টিত রয়েছে। তবে তা পুরুষকেন্দ্রিক নয়, নারীকেন্দ্রিক। কথা বলছি ‘দ্য আদার ওয়ার্ল্ড কিংডম’ সম্পর্কে। এই দেশে যে কোনও বিষয়ে শেষ কথা বলেন মেয়েরাই। ১৯৯৬ সালে জন্ম হওয়া এই দেশ চেক প্রজাতন্ত্রের অংশ বিশেষ। এই দেশে কোনও রাজা নেই। সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রানির। বর্তমানে এই ছোট্ট দেশটিতে একছত্র আধিপত্য কুইন পাত্রেসিয়ার। তিনিই ঠিক করে দেন দেশের মানুষজন কীভাবে দিন কাটাবেন। তবে এই দেশে সরকারি ভাবে পুরুষদের থাকার কোনও অধিকার নেই। তাঁদের নাগরিকত্বও দেওয়া হয় না। স্রেফ কোনও মহিলার দাস হয়ে থাকতে পারলেই, এখানে থাকার সুযোগ পান পুরুষরা। আর কেউ যদি নিতান্তই এই দেশের বাসিন্দা হতে চন, তাহলে বিশেষ কিছু শর্তে দেশে থাকার সুযোগ পান তিনি। প্রথমত এই দেশে তাঁর পরিচয় হয় দাস হিসেবেই। সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন তাঁকে রানির মহলে কাটাতে হয়। সেখানে রানির যাবতীয় হুকুম তামিল করার নিয়ম। এছাড়া কেউ যদি বাইরের দেশের কোনও পুরুষ যদি এখানে ঘুরতেও আসেন, তাহলেও তাঁকে রানির জন্য বানিয়ে দিতে হয় বিলাসবহুল সোফা। এছাড়া বিশেষ কায়দায় রানিকে মদ্যপান করানো থেকে শুরু করে আরও একাধিক নিয়ম মানতে হয় এই দেশের পুরুষদের।
আরও শুনুন: শয্যাসঙ্গী হতে পারেন যে কেউ, অর্ধেক বিছানা ভাড়া দিয়েই লক্ষ টাকা আয় তরুণীর
তবে নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে মহিলাদেরও মানতে হয় বিশেষ কিছু শর্ত। প্রথমেই তাঁদের বলা হয় অন্তত একজন পুরুষকে দাস হিসেবে নিয়োগ করার কথা। এমনটা করতে পারলেই মিলবে এ দেশের নাগরিক হওয়ার সুযোগ। এছাড়া দেশের আইন বোঝার জন্য মহিলাদেরও অন্তত পাঁচদিন রানির মহলে কাটাতে হয়। আর এভাবেই দিব্য রয়েছে ‘দ্য আদার ওয়ার্ল্ড’। অনেকেই এই দেশকে স্বীকৃতি দিতে চান না। কেউ কেউ মনে করেন এই দেশ স্রেফ ছোট্ট একটা নগরীর সমান। কিন্তু দেশের প্রশাসন বা রানি তেমনটা মনে করেন না। তিনি নিজের মত করেই সাজিয়েছেন মহিলা পরিচালিত এই দেশটিকে। বরং প্রথম বিশ্বের দেশগুলির মতোই এখানেও সব রকম বিলাসিতা ভোগের সুযোগ করে দিয়েছেন রানি। তবে সেখানে অধিকার স্রেফ নারীদের, পুরুষরা এখানে কেবল দাস মাত্র।