৪৮ ঘণ্টায় ৩০০বার ফোন করেছেন। তাও আবার এক পুলিশ অফিসারকে। ফলও ভুগতে হয়েছে রীতিমতো। একেবারে জেলের সাজা পেলেন ব্যক্তি। কিন্তু হঠাৎ এমনটা কেন করতে গেলেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
অজানা নাম্বার থেকে ফোন। সাধারণ কেউ তা নাই ধরতে পারেন। কিন্তু পুলিশের সে উপায় নেই। যে কোনও মুহূর্তে সমস্যায় পড়ে ফোন করতে পারেন কেউ। আর সেই ফোন না ধরে উপায় নেই। তবে কেউ যদি এর সুযোগ নিয়ে পুলিশকেই হেনস্তা করে তাহলে আর কিছুই বলার থাকে না। অনেকেই হয়তো এমনটা ভাবতেও সাহস করবেন না। বা মজা করে এমনটা করলেও খুব বেশি হলে এক-দুবার। কিন্তু এই ব্যক্তি প্রায় ৩০০ বার বিনা কারণে ফোন করেছেন এক পুলিশ অফিসারকে। যার জেরে রীতিমতো বিরক্ত ওই অফিসার।
আরও শুনুন: দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ছুট! এবার আন্তর্জাতিক পরিষেবা শুরু করছে ভারতীয় রেল
ঘটনাটি কেরলের। সে রাজ্যে বেশ কিছু মহিলা পুলিশ স্টেশন রয়েছে। রাজ্যের মহিলারা যাতে সমস্যায় পড়লে নির্দ্বিধায় থানায় যেতে পারেন, সেই ভাবনা নিয়েই তৈরি হয়েছিল এই বিশেষ পুলিশ স্টেশনগুলি। এইসব থানায় পুলিশ কর্মী থেকে শুরু করে আধিকারিক সকলেই মহিলা। তাই থানায় কেউ ফোন করলেও সেই ফোন ধরার দায়িত্বে মহিলারাই থাকেন। এই সুযোগটাই কাজে লাগান এক ব্যক্তি। বিনা প্রয়োজনে থানায় ফোন করতে শুরু করেন তিনি। নিদির্ষ্ট একজন মহিলা অফিসারই সেই ফোন ধরতেন। তবে পুলিশ বলে তিনিও রেহাই পাননি। ফোন করে রীতিমতো হেনস্থা করতেন ওই ব্যক্তি। আর ফোন না ধরেও উপায় নেই। বরং ওই ব্যক্তির ফোনের কারণে অনেক প্রয়জনীয় ফোন ধরতে পারতেন না ওই মহিলা অফিসার। একদিকে ব্যক্তিগত হেনস্থা, আরেকদিকে কাজের ক্ষতি। সবমিলিয়ে অতিষ্ট হয়ে ওঠেন তিনি। প্রায় দুদিন ধরে এইভাবে বিরক্ত করছিলেন ওই ব্যক্তি। এর মধ্যেই ৩০০বার থানায় ফোন করে ফেলেছেন তিনি। বাধ্য হয়েই কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হন তিনি।
আরও শুনুন: ‘হর হর শম্ভু’ গেয়েছিলেন মুসলিম গায়িকা, শাস্তি হিসেবে প্রাণ গেল ভাইয়ের
সহজেই খুঁজে বের করেন ওই ব্যক্তিকে। তাঁকে আটক করে থানাতেও নিয়ে আসেন। আদালতে পেশ করা হয় পরেরদিন। সেখানে সব শুনে রীতিমতো চটে যান বিচারপতিও। মহিলা অফিসারের অভিযোগ ছিল, ফোন করে যৌনগন্ধী কথাবার্তা বলতেন ওই ব্যক্তি। যা রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলত তাঁকে। বারবার বলা সত্ত্বেও ফোন করা থামাননি ওই ব্যক্তি। একইসঙ্গে এর জেরে তাঁর কাজেরও ক্ষতি হয়েছে বলে বিচারপতিকে জানান তিনি। এই দুই অভিযোগের জন্য আলাদাভাবে তাঁকে সাজা শুনিয়েছে আদালত। যৌন হেনস্তার জন্য তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও সেইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা। আর মহিলা থানায় ফোন করে বিরক্ত করার অভিযোগে এক বছরের জেল ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।