খ্যাতি কে না ভালবাসেন! আর কোনও না কোনও অভিনব কাজ করলেই যদি সেই খ্যাতি মেলে, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। হ্যাঁ, গিনেস বুকে নাম তোলার জন্য সেই পথটিই বেছে নেন অনেকেই। তবে খ্যাতি লাভ করতে গিয়ে যে লোকসানও হতে পারে, সে কথা হাড়ে হাড়ে বুঝলেন এই যুবক। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
দাবি আদায় করার জন্য অনেকক্ষণ ধরে কেঁদে চলা অনেক শিশুরই অভ্যাস। দাবি না মেটা পর্যন্ত তাদের থামানো যায় না কিছুতেই। কিন্তু বড় হলে কি আর কেউ তেমনটা করে? এই যুবক কিন্তু করেছেন। তাঁর দাবি যাতে পূরণ হয়, তার জন্যই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে কেবল কেঁদে গিয়েছেন তিনি। আসলে গিনেস বুকে নিজের নাম তুলে কৃতিত্ব স্থাপন করাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। এমনিতে যে কোনও বিরল ঘটনাকেই তার প্রাপ্য মর্যাদা দেয় গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। কেউ দীর্ঘ সময় ধরে চুমু খান, তো কেউ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে রান্না করেন। কেউ আবার স্রেফ দাঁড়িয়ে বা বসে থেকেই নাম তুলে ফেলেন গিনেস বুকে। একইভাবে, বিরল ঘটনা ঘটিয়ে গিনেস বুকে ঠাঁই পেতে চান অনেকেই। তার জন্য নানারকম অদ্ভুত কাজ করতেও তাঁরা পিছপা হন না। যেমনটা করেছেন এই যুবক। স্রেফ কেঁদে কেঁদেই বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী হতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই লাভের পিছু পিছু যে লোকসানও আসতে পারে, সে কথা বোধহয় তিনি আগে ভাবেননি। যদিও বাস্তবে ঘটেছে তেমনটাই।
আরও শুনুন: রসগোল্লা সন্দেশকে টেক্কা দিয়ে বিশ্বসেরা মিষ্টির তালিকায় দক্ষিণের বিখ্যাত মিষ্টি, কী জানেন?
জানা গিয়েছে, ওই যুবক নাইজেরিয়ার বাসিন্দা। নাম টেম্বু এবেরে। কে দীর্ঘতম সময় কাঁদতে পারেন, তা নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা চলছিল। সেই প্রতিযোগিতাতেই শামিল হয়েছিলেন নাইজেরীয় ওই যুবক। ভেবেছিলেন, সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কাঁদলে সরাসরি গিনেস বুকেও নাম উঠে যাবে তাঁর। আর সেই নাম তোলার লোভেই সাত দিন ধরে একটানা কেঁদে যাচ্ছিলেন তিনি। জোর করে চোখে জল আনার জন্য নানারকম কলাকৌশলও করেছিলেন। আর তা করতে গিয়েই হঠাৎ ওই যুবক টের পান যে, তিনি সব কিছুই অস্পষ্ট দেখছেন। তিনি পরে জানিয়েছেন, ৪৫ মিনিটের জন্য তিনি কিছু দেখতে পাননি। চোখ ফুলে গিয়েছিল। মাথাতেও অসম্ভব যন্ত্রণা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। আসলে কিছুক্ষণের জন্য আংশিক দৃষ্টিশক্তিই হারিয়ে ফেলেছিলেন ওই যুবক।
আরও শুনুন: এই চার গ্রামের জনসংখ্যা শূন্য! ১৪০ কোটির ভারতে এমনটা কীভাবে সম্ভব, উঠছে প্রশ্ন
অবশ্য এত কিছুর পরেও হাল ছাড়তে রাজি হননি তিনি। জানিয়েছিলেন কৌশল বদলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার চেষ্টা করবেন। কিন্তু তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পেরে তাঁকে তখনই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আয়োজকেরা। এত কষ্ট স্বীকার করেই শেষমেশ কিন্তু কপালে শিকে ছেঁড়েনি ওই যুবকের।