স্রেফ এলেই হল না। আনতে হবে দামি উপহার। তবেই ঢুকতে পারবেন বিয়ের অনুষ্ঠানে। এমন ফরমান জারি করেছেন খোদ কনে। তাঁর দাবি, নিমন্ত্রিতরা অন্তত ৪০০০ টাকার উপহার নিয়ে বিয়েতে আসবেন। ঠিক কেন এমন দাবি করেছেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
বিয়ে মানেই দুই পরিবারের মিলন। একইসঙ্গে সামাজিক উৎসবও বটে। যে কোনও দেশে বিয়ের অনুষ্ঠান রীতিমতো জাঁকজমক করেই পালন করা হয়। সঙ্গে থাকে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজনও। সাধারণত কেউ খালি হাতে এই অনুষ্ঠানে আসেন না। তবে কে কী দেবেন তা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু এক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। নিমন্ত্রিতরা কত দামের উপহার নিয়ে আসবেন, তা ঠিক করে দিয়েছেন খোদ কনে।
আরও শুনুন: বলব বলব করে বলা হয়নি ৬০ বছর, স্কুলের ‘ক্রাশ’কে এতদিনে প্রেম নিবেদন ৭৮-এর বৃদ্ধর
একসময় পাড়া গ্রামে কারও বিয়ে হলে সকলেই তা নিয়ে মেতে থাকেন। সেক্ষেত্রে কে কত মূল্যের উপহার দিচ্ছেন তা কখনই দেখার মতো বিষয় হত না। নবদম্পতিকে সবাই আশীর্বাদ করবেন এটুকুই যথেষ্ট। তবে যুগের সঙ্গে বদলেছে সবকিছুই। বিয়ের অনুষ্ঠান, নিমন্ত্রিতদের আপ্যায়ন সবকিছুই বর্তমানে ভীষণ যান্ত্রিক। অনেকেরই এই ধারণা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক উৎসবের তকমা অনেকটাই হারিয়েছে বিয়ে। এক্ষেত্রেও খানিকটা সেই ছবিই ধরা পড়ল। যদিও ঘটনাটি এ দেশের নয়। মার্কিন মুলুকে এক তরুণীর দাবি তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানে কেউ যেন ৪০০০ টাকার কম মূল্যের উপহার ছাড়া না আসেন। অনলাইনে নিজের একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন তিনি। সেখানেই এমন অদ্ভুত দাবির কথা জানিয়েছেন তিনি। যদিও এ প্রসঙ্গে বেশ কিছু যুক্তিও দেখিয়েছেন তিনি। তাঁর প্রথম দাবি, কেউ যদি এর থেকে কম মূল্যের উপহার নিয়ে আসেন তাহলে শ্বশুরবাড়িতে মানরক্ষা হবে না তাঁর। এছাড়াও তাঁর দাবি, অনুষ্ঠানে এক প্লেট খাবারের দাম রাখা হয়েছে ১২হাজার টাকা। তাই এই দামের খাবারের বিনিময়ে অন্তত ৪০০০ টাকার উপহার না দিলে চলে না। এমনটাই মনে করেছেন ওই কনে।
আরও শুনুন: ভেজ বিরিয়ানিতে পনিরের বদলে চিকেন! শ্রাবণের বারাণসীতে খাবার অর্ডার দিয়ে বিপাকে যুবক
কিন্তু তাঁর এই দাবি একেবারেই ভালোভাবে নেননি নেটিজেনরা। প্রায় সকলেই একযোগে ওই তরুণীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এভাবে উপহার মূল্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া অন্তত অপমানজনক বলেই মনে করেছেন তাঁরা। পালটা জবাব দিয়েছেন ওই তরুণীও। সবমিলিয়ে তরুণীর অদ্ভুত দাবি নিয়ে রীতিমতো উত্তাল নেটদুনিয়া।