রাজ্যের আরজিতে সায়, বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। হাই কোর্টে জানাল কমিশন। ভোটহিংসার জেরে বাসন্তীতে রাজ্যপাল। দেখা হল না নিহত তৃণমূলকর্মীর পরিবারের সঙ্গে। ভোট বন্ধের মামলা খারিজ হাই কোর্টে। ফের অনুব্রত মণ্ডলের পাশেই দল। পিছোল না বেঙ্গালুরুতে বিরোধী বৈঠক। তড়িঘড়ি দিন ঘোষণা, সব বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ কংগ্রেসের। কলকাতায় পা রাখলেন মার্টিনেজ। মোহনবাগান রত্নের আদলে স্মারক উপহার তারকা গোলকিপারকে।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 2 জুলাই 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- এবার ফাটল এনসিপিতে, বিজেপি-শিব সেনা সরকারে যোগ অজিত পওয়ারের
আরও শুনুন: 1 জুলাই 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘সংবিধান না মেনে কাজ’, ভোটহিংসায় রাজ্যপালের পদক্ষেপে বিরক্ত স্পিকার
বিস্তারিত খবর:
1. পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে অবশেষে কাটতে চলেছে জটিলতা। রাজ্যের আরজিতে সায় দিয়ে বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠাতে রাজি হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টকে জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
আদালতের নির্দেশ মেনে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কেন্দ্রের কাছে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে। প্রথমে সেই আরজি মেনে ২২ এবং পরে ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর কথা চিঠি লিখে জানায় অমিত শাহর মন্ত্রক। পাশাপাশি এও বলা হয়, কীভাবে রাজ্যে এই ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে, তার বিস্তারিত তথ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানাতে হবে। তবেই পরবর্তীতে আরও কোম্পানি পাঠানো হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে পালটা চিঠি দিয়ে আবারও বাকি কোম্পানি বাহিনী চেয়ে পাঠায় কমিশন। কেন্দ্র ও রাজ্যের পত্রযুদ্ধের জেরে বাহিনী নিয়ে তৈরি হয়েছিল চূড়ান্ত জটিলতা। চাহিদামতো বাহিনী না মিললে পড়শি রাজ্য থেকে পুলিশ আনতে পারে রাজ্য, শোনা যাচ্ছিল এমনটাও। তবে তার আর প্রয়োজন হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে চিঠি দিয়ে কমিশনকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হবে। এদিন কলকাতা হাই কোর্টে হলফনামা পেশ করে স্পর্শকাতর বুথগুলিকে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী দেওয়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। তার প্রেক্ষিতে কমিশনের এই রিপোর্ট সব পক্ষকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
2. পঞ্চায়েতের আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসার জেরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর হিংসার জায়গা পরিদর্শন করতেই এবার বাসন্তী গেলেন তিনি। রাজনৈতিক হিংসায় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুব তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লা ঠিক যে জায়গায় খুন হয়েছিলেন, সেই ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করেন তিনি। তবে গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরলেও নিহত তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লার বাড়িতে যাওয়া হল না রাজ্যপালের। নিহতের মেয়ে মানোয়ারার বিস্ফোরক দাবি, পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্যপালকে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছতে দেয়নি। প্রকৃত সত্য ধামাচাপা দিতেই রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও পরে ক্যানিংয়ের সেচদপ্তরের গেস্ট হাউসে জিয়ারুলের মেয়েকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। সেখানেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। এই ঘটনায় এখনও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় নিহত তৃণমূল কর্মীর মেয়ে।
এদিকে নির্বাচনী আবহে রাজ্যে হিংসা নিয়ে এদিন ফের কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল। ‘রক্তের হোলি বন্ধ হোক’, সাফ জানিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এদিন ৪৮ ঘণ্টার ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।