তিনি বিখ্যাত বক্সার। বক্সিংয়ের রিংয়ে তাঁর সামনে পিছু হটে অনেক প্রতিপক্ষই। কিন্তু তাঁর সেই অসীম শক্তির উৎস নাকি একটাই। একাধিক সঙ্গিনীর সঙ্গে যৌন মিলন। হ্যাঁ, এমনটাই দাবি করেছিলেন এই আন্তর্জাতিক বক্সার। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
বড় বড় খেলোয়াড়দের খেলার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন অভ্যাসের কথা শোনা যায়। নিজেদের দক্ষতা আরও বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করেন তাঁরা। কেউ নিত্যনতুন কোচের কাছে ছোটেন, কেউ আবার ভরসা রাখেন জ্যোতিষীর তুকতাকে। তা ছাড়া ডায়েট আর শরীরচর্চার রকমফের তো আছেই। খেলার আগে নিয়ম করে নানা সংস্কারও পালন করেন কেউ কেউ। আর এসবের কারণেই তাঁরা নাকি হয়ে দাঁড়ান আরও শক্তিশালী, অন্তত এমনটাই দাবি করে থাকেন তারা নিজেরা। কিন্তু এই তারকা বক্সার নিজের শক্তির উৎস সম্পর্কে যা জানিয়েছিলেন, তেমনটা চট করে শোনা যায় না। তাঁর দাবি ছিল, অপরিমিত যৌনতাই নাকি তাঁর এহেন শক্তির নেপথ্য কারণ।
আরও শুনুন: ২০০ সন্তানের বাবা, দিনে ১০০ মহিলার সঙ্গেও যৌনতা সেরেছেন এই যুবক, কীভাবে সম্ভব?
হ্যাঁ, খোলাখুলি এক সাক্ষাৎকারে এমন কথাই জানিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বক্সার টাইসন ফিউরি। সেখানে তিনি স্পষ্টই জানান, অন্তত ৫০০ মহিলার সঙ্গে সহবাস করেছেন তিনি। অবশ্য সংখ্যাটা তার বেশি হলেও যে তিনি আশ্চর্য হবেন না, সে কথাও স্বীকার করে নেন এই তারকা বক্সার। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এ পর্যন্ত কত মহিলার সঙ্গে মিলিত হয়েছেন, তার হিসেব রাখা সম্ভব হয়নি তাঁর নিজের পক্ষেও। তবে একেকজন মহিলার সঙ্গে তিনি দু-ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে যৌন সংসর্গ করেছেন বলে দাবি করেছিলেন টাইসন। অবশ্য শুধু এই একবারই নয়, বারে বারেই এ কথা জানাতে দ্বিধা করেননি এই খ্যাতনামা বক্সার। একবার একটি বক্সিং ম্যাচের আগে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলেই এ কথা লিখেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, তাঁর জয়ের রহস্য আসলে কী। টুইটে সেই রহস্যই ফাঁস করে টাইসন জানিয়েছিলেন, অপরিমিত যৌনতাই আসলে তাঁকে শক্তি জোগায়। তাঁর দাবি, বহু বার সহবাসের কারণে ফিটনেস বাড়ে। বেড়ে যায় পেশির শক্তিও। আর সেই কারণেই বক্সিং রিংয়ে তিনি প্রতিপক্ষের ত্রাস হয়ে উঠতে পেরেছেন বলে দাবি করেন এই তারকা বক্সার।
আরও শুনুন: সঙ্গম নয়, হস্তমৈথুনে বেশি তৃপ্তি পান মহিলারা! পাল্লা ভারী কোন দিকে?
এমনিতেই সাফল্যের পাশাপাশি বারবার বিতর্কেও জড়িয়েছেন দু’বার বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন টাইসন ফিউরি। আমেরিকার মাইক টাইসনের নামেই নাম তাঁর। মাইক টাইসনও একবার জানিয়েছিলেন, বড় ম্যাচের আগে নিজের মেজাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ড্রেসিং রুমেই তিনি মেতে উঠতেন উদ্দাম যৌনতায়। গুরুর মতো শিষ্যও যে প্রায় একই পথে হেঁটেছেন, খোলাখুলিই সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন টাইসন ফিউরি-ও।