জিনিসপত্রের দাম বাড়লে এমনিতেই নাভিশ্বাস ওঠে আমাদের। আর সেখানে যদি বলা হয়, মাত্র একটা ডিমের দামই নাকি ৭৮ কোটি টাকা? এত দাম শুনলে তো প্রায় হৃৎস্পন্দন বন্ধ হওয়ার জোগাড়। কী বিশেষ গুণ রয়েছে এই ডিমের, যার জন্য তার দাম এমন আকাশছোঁয়া? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
ডিম অনেকেরই প্রিয় খাদ্য। শুধু প্রিয় বলেই নয়, সুষম ডায়েটেও অধিকাংশ সময়েই এই জিনিসটি হাজির থাকে। প্রচুর প্রোটিনের ভাঁড়ার বলেই রোজ এক বা একাধিক ডিম খেয়ে থাকেন অনেকেই। কিন্তু যদি সেই ডিমের দাম এমন নাগালের বাইরে হয়, তাওলে তো মাথায় হাত। ভাবছেন, একটা ডিমের দাম আর কত হতে পারে? দশ-বিশ টাকা বড়জোর? কিংবা যাঁরা একটু বেশি স্বাস্থ্যসচেতন, তাঁরা পোলট্রির বদলে দেশি হাঁস মুরগির ডিমের খোঁজ করেন। কিন্তু তার দামও খুব বেশি হলে ২৫-৩০ টাকার বেশি নয়, তাই না? কিন্তু যে বিশেষ ডিমটির কথা বলছি, তার দামে একটা নয়, বেশ কয়েকটা শূন্য বর্তমান। ভারতীয় মুদ্রায় তার দাম দাঁড়ায় ৭৮ কোটি টাকা। আজ্ঞে হ্যাঁ, এমনই সাংঘাতিক দাম নাকি মাত্র একটা ডিমের। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ডিম-এর তকমাও জুটেছে তারই ভাগ্যে। কিন্তু কী এমন গুণ রয়েছে এই বিশেষ ডিমটিতে, যার জন্য তার দাম এমনই আকাশছোঁয়া? তাহলে খুলেই বলা যাক বরং।
আরও শুনুন: দিনে স্রেফ ৮ কাপ চা, তাতেই নিশ্চিন্তে পার জীবনের একশোটা বছর
এই বিশেষ ডিমের নাম রথসচাইল্ড ফ্যাবার্জ ইস্টার এগ। আসলে এই ডিমটি খাওয়ার উপযোগীই নয়। ইস্টার উৎসবে ঘর সাজানোর অন্যতম উপকরণ হল ডিম। আর সেই ‘ডেকোরেশন এগ’ হিসেবেই বানানো এই কৃত্রিম ডিম। ১৯০২ সালে মিশেল পার্চিনের ওয়ার্কশপে রুশ স্বর্ণকার পিটার কার্ল ফ্যাবার্জের তত্ত্বাবধানে এটি তৈরি করা হয়। এর গোটা গায়ে রয়েছে সোনার আস্তরণ, তার উপরে আবার দামি দামি রত্ন বসানো। একাধিক হিরে বসানো এই ডিমের দাম যে বেশি হবেই, এ আর বেশি কথা কী! বিখ্যাত জার্মান ধনকুবের রথসচাইল্ডের নামেই তাই এই দামি ডিমের নামকরণ করা হয়েছে। তবে শুধু এই একটি ডিমই নয়, দামি ডিমের তালিকায় রয়েছে আরও একাধিক ডিম। এর মধ্যে মিরাজ ইস্টার এগের দাম ৬৯ কোটি টাকা। ১৮ ক্যারাট সোনা এবং ১০০০ হিরে বসানো হয়েছে এই ডিমটিতে। আবার চকোলেটের মতো দেখতে ডায়মন্ড স্টেলা ইস্টার এগের দাম ৮২ লক্ষ টাকা। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ডিমের তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওই দুটি ডিম।