‘আদিপুরুষ’ ছবি নিয়ে যতখানি উন্মাদনা ছিল সিনেদুনিয়ায়, ছবি মুক্তির পর ততটাই বিতর্ক শুরু হয়েছে এই ছবি নিয়ে। কিন্তু যে যাই বলুক, এই ছবি নিয়ে নিজের অবস্থানে অনড় একজন। আদিপুরুষের হয়ে একাই লড়াই জারি রেখেছেন এই মহিলা। কে তিনি? কেনই বা এমনটা করছেন ওই মহিলা? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
সিনেমার প্রথম ট্রেলার রিলিজের পর থেকে ছবি মুক্তি পর্যন্ত, বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না এই সিনেমার। মুক্তি লাভের পর বক্স অফিসে প্রথমে সাফল্যের মুখ দেখেছিল ‘আদিপুরুষ’। তবে দিন যত এগিয়েছে, বিতর্ক বেড়েছে। খোদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লেখা হয়েছে ‘আদিপুরুষ’ নিষিদ্ধ করার দাবিতে। এ ছবির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পড়শি দেশ নেপালও। হনুমানের মুখের ভাষা থেকে সীতার প্রকৃত জন্মভূমি, এমন নানা ইস্যুতে বিতর্কে জড়িয়ে জনপ্রিয়তা হারিয়েছে ‘আদিপুরুষ’। পাশাপাশি ছবির ভিএফএক্সের কাজ, চিত্রায়ন, এ সব নিয়েও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিতে ছাড়েননি সমালোচকেরা। সব মিলিয়ে দর্শক এবং সমালোচক, দুই শিবির থেকেই জুটেছে নিন্দা। তবে ব্যতিক্রম কেবল একজন। যে যাই বলুক না কেন, কোমর বেঁধে এই ছবির পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এই ছবির প্রশংসায় তিনি যেমন পঞ্চমুখ, তেমনই নিন্দকদের পালটা জবাব দিতেও সমান তৎপর গীতা স্যানন।
আরও শুনুন: জনকপুর নেপালে হলে সীতা ভারতের কন্যা কেন হবেন! ‘আদিপুরুষ’ নিয়ে বেজায় চটে নেপালের মেয়র
কিন্তু কে এই মহিলা? পদবি দেখেই হয়তো একটা আন্দাজ পাওয়া যাবে। হ্যাঁ, ঠিক তাই। ইনি এই ছবির সীতা, অর্থাৎ কৃতি স্যানন-এর মা। নয়া দিল্লির আত্মারাম সনাতন ধরম কলেজের ফিজিক্সের অধ্যাপক গীতা প্রথম থেকেই মেয়ের ছবি নিয়ে সমর্থন জারি রেখেছেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন তিনি। তাতে রয়েছে একটি হিন্দি উদ্ধৃতি, “জাকি রাখি ভাবনা জ্যায়সি প্রভু মুরত দেখি তিন ত্যায়সি।” যার মানে দাঁড়ায়, আপনি যদি কোনও কিছুর দিকে ভাল মনে দাঁড়ান, তাহলে গোটা দুনিয়ার কাছেই তা সুন্দর হয়ে উঠবে। এই প্রসঙ্গে রামায়ণের কথা টেনে গীতা আরও বলেছেন, শবরী রামকে যে ফল খেতে দিয়েছিলেন রাম তা সন্তুষ্ট হয়েই গ্রহণ করেছিলেন, ফলটি যে আধখাওয়া তা নিয়ে বিরক্ত হননি। কারও ভুলের দিকে নজর করার বদলে তার আবেগকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত, এমনটাই মত গীতার। আসলে এই কথার মাধ্যমে ‘আদিপুরুষ’-এর ত্রুটিবিচ্যুতিগুলিকে নিয়ে বেশি না ভেবে কলাকুশলীদের আবেগকে সম্মান করার কথাই বলতে চেয়েছেন কৃতি স্যানন-এর মা, এমনটাই মনে করছেন সকলে।