বিয়ে হয়ে গিয়েছে, কিন্তু স্বামীকে মেনে নিতে নারাজ তরুণী। তাই স্বামীর হাতে রাখিও বেঁধে দিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার কথা নিজেই জানিয়েছেন রাজস্থানের ওই তরুণী। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
মেয়ের প্রথম বিয়ে মেনে নিতে নারাজ ছিল তার পরিবার। তাই চাপ দেওয়া হচ্ছিল দ্বিতীয় বিয়ের জন্য। এমনকি তার জন্য কার্যত বন্দি করে রাখা হয়েছিল তরুণীকে। নাগালে পাননি কোনও ফোনও। এই পরিস্থিতিতে ফের বিয়ে করতেই বাধ্য হয়েছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু নতুন স্বামীর সঙ্গে সংসার করার কোনও ইচ্ছে তো তাঁর ছিল না। বরং প্রথম স্বামীর কাছেই ফিরে যেতে চান তিনি। তাই দ্বিতীয় স্বামীর হাতে একটি রাখি বেঁধে দেন তিনি। দম্পতির সম্পর্ক নয়, তাঁদের মধ্যে ভাইবোনের সম্পর্ক রয়েছে, ওই ব্যক্তিকে এ কথাই বোঝাতে চেয়েছিলেন তরুণী। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্রেই সামনে এসেছে রাজস্থানের এই ঘটনাটি।
কী ঘটেছে ঠিক?
আরও শুনুন: কনের বয়স্ক দাদাকে বিয়েতে বাধ্য বরের বোন! রাজস্থানের অদ্ভুত প্রথার বলি বহু তরুণী
জানা গিয়েছে, স্কুলে পড়ার সময় থেকেই পরস্পরের প্রেমে পড়েছিলেন তরুণা শর্মা এবং সুরেন্দ্র সাঙ্খলা। স্নাতক হওয়ার পর লুকিয়ে বিয়েও করেন তাঁরা। যেহেতু ওই ব্যক্তি একই বর্ণের নন, তাই দুজনের সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি ছিল না তরুণীর পরিবার। ফলে বিয়ের পর পরিবারের কাছ থেকে আত্মগোপন করেই থাকতে হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু দিন দশেকের মধ্যেই তাঁদের খুঁজে বার করে তরুণীর পরিবার। জোর করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের, এবং তরুণীকে সঙ্গে করে নিয়ে যান তাঁর আত্মীয়রা। এরপর তরুণীকে কার্যত ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল বলেই দাবি করেছেন তিনি। তরুণীর অভিযোগ, প্রায় পাঁচ মাস ধরে গুজরাট এবং রাজস্থানের বিভিন্ন শহরে তাঁকে ঘরবন্দি করে রেখেছিল তাঁর পরিবার। কেড়ে নেওয়া হয়েছিল ফোন। ফলে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করারও কোনও উপায় ছিল না। এই পরিস্থিতিতে ক্রমাগত তাঁকে পরিবারের কথামতো বিয়ে করার জন্য চাপ দেওয়া হতে থাকে। জিতেন্দ্র যোশি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে শেষমেশ বিয়ে দেওয়া হয় ওই তরুণীর।
আরও শুনুন: পাত্রের গোঁফ-দাড়ি থাকলে বিয়েই বাতিল, আজব নিয়ম রাজস্থানের গ্রামে
তবে বিয়ের পরেই ওই ব্যক্তিকে সব কথা খুলে বলেন তিনি। তাঁর হাতে রাখিও পরিয়ে দেন। তবে ওই ব্যক্তির কাছেও তাঁকে নির্যাতিত হতে হয়েছে বলেই দাবি তরুণীর। সেই কারণেই রায়পুরের একটি হাসপাতালে তাঁকে ভরতি করানো হয়। আর সেখান থেকেই এক সুযোগে সোশ্যাল মিডিয়ায় সব কথা জানিয়েছেন তরুণী। তাঁর পোস্টে রীতিমতো সাড়া দিয়েছেন নেটিজেনরাও। এমনকি বলি-অভিনেতা সোনু সুদের কাছেও অনেকে আরজি জানিয়েছেন, এই ঘটনার সুরাহা করার জন্য। আপাতত নিজের ভালবাসার মানুষটির কাছে ফেরার অপেক্ষাতেই দিন গুনছেন তরুণী।