বিদেশ যাওয়ার পথে ফের বিমানবন্দরে বাধা অভিষেক-পত্নী রুজিরাকে। ইডিকে জানানো সত্ত্বেও কেন বাধা? ক্ষুব্ধ মমতা।ওড়িশা দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজে জোর। আহতদের দেখতে SSKM-এ মুখ্যমন্ত্রী, মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা। বাতিল দার্জিলিং সফর, মঙ্গলবার কটক যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওড়িশা বিপর্যয় নিয়ে তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর। দেশের সেরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ। শীর্ষে মাদ্রাজ আইআইটি, প্রথম দশে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। দাবি না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। গুজব উড়িয়ে সাফ বার্তা সাক্ষী মালিকের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. ফের ইডির নজরে অভিষেক পত্নী। সোমবার সকালে দমদম বিমানবন্দর থেকে দুবাই যাওয়ার পথে আটকানো হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জানা গিয়েছে, রুজিরার সঙ্গে ছিল তাঁদের দুই সন্তানও। তাঁদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিমানবন্দরের অভিবাসন দপ্তরের বিরুদ্ধে। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট তাঁর বিদেশযাত্রায় কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছিল। কিন্তু অভিবাসন দপ্তরের যুক্তি, রুজিরা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ইডির লুকআউট নোটিস রয়েছে। আবার দিল্লির আদালতেও একটি মামলা চলছে। সেই মামলায় এখনও জামিন নেননি রুজিরাদেবী। ফলে এই মুহূর্তে দেশের বাইরে তিনি যেতে পারবেন না। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “এভাবে আটকানো অমানবিক। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, রুজিরা দেশের বাইরে যেতে পারবে। যাওয়ার আগে ইডিকে জানালেই হবে। সেই কাজই করেছিল, আগে থেকে জানিয়েছিল। কিন্তু তাও শেষ মুহূর্তে ওকে আটকানো হল।” এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনামা প্রকাশ্যে এনে রুজির বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে আটকানোর বিরোধিতা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। অন্যদিকে ফের অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের স্ত্রীকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ৮ জুন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিজিও কমপ্লেক্সে সশরীরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই পদক্ষেপ নিয়েও কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর দাবি এই তলবের পিছনে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণ রয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, এই ঘটনার পর আদালত অবমাননা নিয়ে ফের মামলা দায়ের করতে পারেন অভিষেক।
2. ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে এসএসকেএমে হাজির মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার বিকেলে প্রায় ৪০ মিনিট ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ছিলেন তিনি। শুধুমাত্র করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে নয়, খোঁজখবর নেন ট্রমা কেয়ার ভরতি অন্যান্য রোগীদেরও। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে ডেকে কথা বলেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা, বাংলায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ ওড়িশায় এখনও ১২০টি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের দেহ পড়ে রয়েছে। সেখানে বাংলার অনেকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রীর। পাশাপাশি সোমবার দুপুরে মৃতদের উদ্দেশে নবান্নের কাছে টোলপ্লাজায় শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যেয়। এখনও কটকের বিভিন্ন হাসপাতালে ভরতি বাংলার বাসিন্দারা। তাঁদের দেখতে আগামিকাল কটক যাচ্ছেন মমতা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু দেওয়া হবে ৫ লক্ষ টাকা। পরিবার পিছু একজন পাবেন হোমগার্ডের চাকরি। গুরুতর আহতরা পাবেন ১ লক্ষ টাকা। তার থেকে কম আহতরা যথাক্রমে পাবেন ৫০ ও ২৫ হাজার টাকা। দুর্ঘটনায় যারা আহত হননি কিন্তু আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ১০ হাজার টাকার চেক। সেইসঙ্গে আগামী ৪ মাস তাঁদের ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। সঙ্গে পাবেন মাসের প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিস। দুর্ঘটনায় যাদের অঙ্গহানি হয়েছে, তাঁদের পরিবার পিছু একজনকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে। একইসঙ্গে এই দুর্ঘটনার কারণে সোমবার দার্জিলিং সফর বাতিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দার্জিলিং জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পৌঁছনোর কিছুক্ষণ আগেই জানানো হয় যে তিনি সফর বাতিল করছেন। ঘনিষ্ঠ মহলের একাংশের দাবি, ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় বাংলার প্রচুর মানুষ এখনও নিখোঁজ। তাছাড়া অনেকেই আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি। সম্ভবত সেসব কাজ নিজে তদারকি করার জন্যই শহরের বাইরে যাওয়া বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।