বলিপাড়ায় তিনি যেন ‘ব্যাড বয়’। কোনও কিছুর তোয়াক্কা করেন না সেভাবে। আবার অনেকে বলবেন, তাঁর মতো দরদী মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সলমন খান। দোষে-গুণে, ভালয়-মন্দয় মিলিয়ে যেন আস্ত এক ধাঁধা। ঠিক যেমন ধাঁধা হয়ে আছে তাঁর প্রেমজীবনও। খোদ ঐশ্বর্য রাই তাঁর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছিলেন। ঘটনা কি সত্যি? কী বলেছিলেন সলমন নিজে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
শুধু পর্দায় নয়, বাস্তবেও তাঁরা একে অন্যের দিকে তাকিয়ে বলেই ফেলেছিলেন ‘হাম দিল দে চুকে সনম’। নয়ের দশকে বলিউডি সিনেমায় পর্দার যেমন অফুরন্ত রোমান্সের গল্প, অফ স্ক্রিন রোমান্সের গল্পগুলোও কিন্তু একইরকম জমজমাট। সে অক্ষয়-শিল্পা হোক বা সঞ্জয়-মাধুরীর প্রেমের গল্প! সেই ইন্টারনেটবর্জিত দিনে গসিপের কলামে সিনেমোদি দর্শক বুঁদ হয়ে থাকতেন বাস্তবের সেই সব প্রেমের গল্পে। সেই সময় অফ স্ক্রিন জুটির মধ্যে বোধহয় সবথেকে চর্চিত জুটি ছিল সলম খান ও ঐশ্বর্য রাই জুটি। দিন গড়িয়েছে, সময় পালটে গিয়েছে অনেকটাই। ঐশ্বর্য এখন বচ্চন-ঘরণী হয়ে সুখে সংসার করছেন। আর সলমন খান স্বভাবসিদ্ধ ডোন্ট কেয়ার ভঙ্গিতেই আজকাল বলেই ফেলছেন যে, বিয়ের বয়স তিনি পেরিয়ে এসেছেন। এই যখন অবস্থা, তখনও কিন্তু দর্শকের মনে উঁকি দেয় সলমন-ঐশ্বর্যের সেই পুরনো প্রেমকাহিনি। সত্যিই কি সলমন খান গায়ে হাত তুলেছিলেন সুন্দরীতমা প্রেমিকার?
আরও শুনুন: বয়কট থেকে বাঁচতে সংসদ ভবন নিয়ে টুইট! বিরোধীদের তোপের মুখে বলি বাদশা
প্রশ্নটা এক সময় আরব সাগরের তীর থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা ভারতবর্ষেই। খোদ ঐশ্বর্যই দাবি করেছিলেন যে, সলমন মদ্যপ হয়ে তাঁর গায়ে হাত তুলেছিলেন। আর আত্মসম্মান ভাঙতেই প্রেমে ইতি টেনেছিলেন রাইসুন্দরী। সেই দাবি নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পরেছিল। অতএব এই প্রশ্নের হাত থেকে নিষ্কৃতী পাননি সলমন নিজেও। তখনও তিনি দাবাং খান হয়ে ওঠেননি বটে, তবে হাবভাবে যে দাবাং ছিলেন তা বলাই যায়। তবে এমন প্রশ্নের সামনে যেন একটু নরমসরম দেখিয়েছিল খোদ সলমনকেও। বলেছিলেন, আমি আঘাত করলে কি ওর যে কী হত! অর্থাৎ উত্তর খুব স্পষ্ট। সলমন যদি মদ্যপ হয়ে সর্বশক্তিতে আঘাত করতেন তবে বড় চোট-আঘাত পেতেন ঐশ্বর্য। হয়তো জীবনসংশয় হত তাঁর। সলমনের ইঙ্গিত ছিল সেদিকেই। ধীরে ধীরে সেই গুজবে সময়ের পলি পড়ে যায়। কিন্তু ওই যে প্রেমের গল্প ফুরিয়েও ফুরোয় না। তাই বেশ কয়েক বছর বাদে আবার একই প্রশ্নের মুখে পড়েন সলমন। সলমন এবার অনেক বেশি পরিণত। না, কোনও চাপানউতোরে যাননি তিনি। স্রেফ প্রাক্তন ‘প্রেমিকা’র দাবি নিয়ে বলেছিলেন, কোনও কারণ ছিল নিশ্চয়ই, তাই ঐশ্বর্য তখন এমন কথা বলেছিলেন। এখন ওসব বাদ দিন।
আরও শুনুন: ৩৬৫ দিন রোজ দেখেছেন সিনেমা, শাহরুখ-সলমনে মুগ্ধ সুধা মূর্তি
সিনে-দর্শকরা সে প্রসঙ্গ প্রায় বাদই দিয়ে দিয়েছেন। তবু বলিঅন্দরে ব্যর্থ প্রেমের গল্প নিয়ে কথা হলে ফিরে ফিরেই আসে সলমন-ঐশ্বর্য প্রেমের কথা। আর কেউ কেউ ভাবেন, পর্দার রোম্যান্টিক জুটির কেমন সুন্দর মিলমিশ হয়ে যায়, পর্দার বাইরে তা হয় না কেন! তখনই বোধহয় উঠে আসে সারসত্যটি। জীবন নিয়ে সিনেমা হতে পারে, তবে সিনেমা তো আর জীবন নয়!