অর্ধাঙ্গিনী যখন, স্বামীর টাকার অর্ধেক ভাগও তো তাঁর। এমনটাই মনে করেন এই মহিলা। তাই নির্দ্বিধায় স্বামীর টাকা ওড়াতে ভালবাসেন তিনি। এমনকি একেকদিনের শপিংয়ে বেশ কয়েক লক্ষ টাকাও খরচ করে ফেলেন তাঁরা। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
কতজনের তো কতরকমের শখই থাকে। তবে এই মহিলার শখ বেশ অদ্ভুত। বরের টাকাপয়সা ইচ্ছেমতো উড়িয়ে দেওয়াই তাঁর পছন্দের শখ। না না, আক্ষরিক অর্থে উড়িয়ে দেওয়ার কথা বলছি না। আসলে জিনিস কিনেই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেন তিনি। হ্যাঁ, পাঁচশো-হাজার টাকায় তাঁর মন ভরার প্রশ্নই নেই। একদিনের শপিংয়ে ৭৩ লক্ষ টাকা খরচ করে ফেলেছেন তিনি, এমন নজিরও রয়েছে। আসলে নিত্যনতুন জিনিস কেনা তাঁর হবি, আর সেই টাকার জোগান দিতে হয় মহিলার স্বামীকেই।
আরও শুনুন: মঙ্গলসূত্র দান করে মিলল এক লাখের হার, ‘দেবতার আশীর্বাদে’ অভিভূত মহিলা
কী ভাবছেন? সেই চিরাচরিত তামাশার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে তো? চলতি ঠাট্টায় বারেবারেই বলা হয়, বউদের কাজ নাকি স্বামীদের পকেট কাটা। অর্থাৎ স্বামীর থেকে টাকাপয়সা আদায় করে নিতে তাঁদের জুড়ি মেলা ভার। আর শপিংয়ে গেলে তো কথাই নেই। শপিংয়ে গেলে নাকি দিগবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে যায় অধিকাংশ মহিলারই। তার উপরে যাঁরা বিবাহিত, স্বামীর টাকাপয়সার ভার কমানোর এমন সুযোগ তাঁরা হাতছাড়া করতে নারাজ। হ্যাঁ, এই মর্মে রসিকতার শেষ নেই এমনিতে। যদিও যে কোনও কাজের জন্য যেমন বেতন প্রাপ্য, গৃহকর্মের ক্ষেত্রেও তেমনই পারিশ্রমিক মিলবে না কেন, এ নিয়ে ইদানীং কালে কথা উঠতে শুরু করেছে। যিনি সংসারের জন্য নিজের সব সময়টাই উৎসর্গ করে দেন, তিনি শখ মেটানোর জন্য টাকা খরচ করলে এত কথাই বা উঠবে কেন, প্রশ্ন তা নিয়েও।
আরও শুনুন: প্রেমের টান! ৪ মাস টানা সাইকেল চালিয়ে দিল্লি থেকে সুইডেনে হাজির যুবক
তবে এই মহিলার ক্ষেত্রে কিন্তু সেসব যুক্তিতর্কের বিশেষ জায়গা নেই। হ্যাঁ, তিনি আশ মিটিয়ে শপিং করে থাকেন বটে। তবে তাঁদের সামগ্রিক জীবনযাপনটাই যে বিলাস ব্যসন শখ শৌখিনতার উঁচু তারে বাঁধা। সত্যি বলতে স্বামী স্ত্রী দুজনেই বিলাসী জীবনে অভ্যস্ত। দুবাই-এর বাসিন্দা এই মহিলা নিজের সেই ধনী জীবনটাকে মেলে ধরতেও বেশ ভালইবাসেন। তাই তিনি সাফ বলেছেন, তিনি একজন ধনী গৃহবধূ, আর বরের টাকা খরচ করাই তাঁর শখ। নামিদামি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন জিনিস, দামি গাড়ি, কী নেই তাঁর ভাণ্ডারে! কয়েক মাস অন্তরই লন্ডনে বেড়াতে যান তাঁরা। আর স্বামীর মেজাজ ভাল থাকলে একদিনের শপিংয়ে গিয়ে তিরিশ লক্ষ থেকে তিয়াত্তর লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করে ফেলেন তাঁরা, এমনটাই জানিয়েছেন ওই মহিলা।