সঙ্গমে মেতে ওঠেন পরিণত বয়সের নারী-পুরুষ। অথচ সঙ্গম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণাই থাকে না অনেকের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্রেফ না জেনেই সঙ্গমের সময় একের পর এক ভুল করে চলেন নারী-পুরুষ দুজনেই। আর মূলত সে কারণেই হাতছাড়া হয় যৌনতৃপ্তি। তা কী সেই ভুল? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
যৌনতা নিয়ে যত নিষেধাজ্ঞা, তত কৌতূহল। উঁকিঝুঁকি দিয়ে তাই যৌনতা সম্পর্কে ভাসাভাসা একটা ধারণা তৈরি হয়। তার আবার অনেকটাই আসে নীল ছবির দুনিয়া থেকে। ফলত, পরিণত বয়স্ক নারী-পুরুষরাও সঙ্গমের সময় কেবলই ভুল করতে থাকেন। তার কারণ ওই একটাই, যৌনতা এবং যৌনতৃপ্তি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকা।
আরও শুনুন: নীল ছবিতে উদ্দাম যৌনতা দেখতে ভালবাসেন অনেকেই… কেমন ছিল প্রথম পর্ন ছবি?
অথচ আমাদের সকলের শরীর প্রায় একই রকম। অঙ্গ মোটের উপর একই। যদিও তার বিন্যাস সামান্য আলাদা। যৌনতার নিরিখে বলতে গেলে, নারীদের ক্ষেত্রে যৌনতৃপ্তির ঠিকানা শরীরের অন্দরে, অর্থাৎ ক্লিটোরিস। আর, পুরুষদের ক্ষেত্রে সেই মাধ্যম হল শিশ্ন বা পুরুষাঙ্গ। এখন যৌনতা তাহলে ঠিক কী? অনেকেরই ধারণা যোনি আর শিশ্নের মধ্যেই যৌনতা সীমাবদ্ধ। যোনির মধ্যে শিশ্নের প্রবেশ আর বাইরে আসার নামই হল সঙ্গম। যৌনতা সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষের ধারণা এটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আর নীল ছবি অর্থাৎ পর্ন দুনিয়ায় তাই-ই দেখানো হয়। যা দেখে অনেক মানুষ যৌনতার প্রথম পাঠ নেন। এদিকে বিশেষজ্ঞ জেসিকা গার্নার বলছেন, এই ধারণার ভিতরই রয়ে আছে মারাত্মক ভুল। আর এই ভুলে-ভরা যৌনতায় মাতামাতিকে বা সঙ্গমের এই ভুল ধরন এমন মাত্রাছাড়া পর্যায়ে চলে গিয়েছে যে, তিনি তো একে প্রায় মহামারী আখ্যা দিয়েছেন।
আরও শুনুন: একাধিক পুরুষের সঙ্গে যৌনতার পরেও তিনি কুমারী! রহস্য ফাঁস পর্ন তারকার
কিন্তু ভুলটা ঠিক কী হচ্ছে? বিশেষজ্ঞ বলছেন, যৌনতা মানে কেবল যোনির ভিতর পুরুষাঙ্গের প্রবেশ বা বাহির নয়। বরং, যৌনতা হল যৌন অঙ্গটিকে ঠিকঠাক ভাবে উদ্দীপ্ত করে তোলা। তা যেমন নিজে নিজে করা সম্ভব, তেমন সঙ্গীর দ্বারাও সম্ভব। তবে যেহেতু পর্ন দেখেই অনেকে সঙ্গম শেখেন, তাই গোড়াতেই মস্ত ভুল হয়ে যায়। ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’ দেখে গাড়ি চালানো শিখতে গেলে যে মারাত্মক বিপদ হয়, পর্ন দেখে সঙ্গম শেখা আসলে সেই রকম ভুল বলেই আক্ষেপ জেসিকার। তাঁর মতে, যৌনতার তৃপ্তি লুকিয়ে আছে ড্রাই হাম্পিং-এর মধ্যে। অর্থাৎ শৃঙ্গার পর্বের মতোই যৌনাঙ্গকে উদ্দীপ্ত করে তোলা। যোনির মধ্যে শিশ্নের বারংবার প্রবেশ এবং তা বাইরে আনার দরুন সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয় বটে, তবে এই প্রক্রিয়া দীর্ঘ যৌনসুখ পাওয়ার পরিপন্থী।
আরও শুনুন: সবচেয়ে বেশি সঙ্গমে লিপ্ত হন কারা? যৌন মিলনের হার বিচার করে জানাল সমীক্ষা
অথচ বেশিরভাগ যুগল তাই-ই করে থাকেন, কেননা পর্ন ছবিতে তাঁরা এভাবেই সঙ্গম দেখতে অভ্যস্ত। আর এর দরুন ক্লিটোরিস ও শিশ্নমুখের স্পর্শ প্রায় হয়-ই না। যার জন্য যৌনতার চরম সুখ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অধরাই থেকে যায়। অর্থাৎ বিশেষজ্ঞদের মতে, উদ্দাম যৌনতা বলতে সাধারণত পর্ন ছবির যে দৃশ্যায়ন তা একেবারেই ঠিক নয়। আর সেই পদ্ধতিতে সঙ্গমের দরুন ভুলের মাত্রা বাড়তেই থাকে। বরং শান্ত ভাবে যৌন অঙ্গে যথেষ্ট উদ্দীপনা যদি সঙ্গী বা সঙ্গীনীর শরীরে আনা সম্ভব হয়, সেটাই প্রকৃত অর্থে উদ্দাম যৌনতা। শারীরিক ভাবে যোনির অন্দরে পুরুষাঙ্গের প্রবেশে বাধা নেই। তবে এই প্রবেশের পরই যৌনতার সঠিক পথ খুঁজে পাওয়া সম্ভব। বারংবার পুরুষাঙ্গ প্রবেশ ও বাইরে আনার মধ্যে সে পথ নেই। তাই না জেনে বা যৌনতা সম্পর্কে ভুল জেনে সঙ্গমে মাততে নিষেধই করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা তাতে তৃপ্তির থেকে অতৃপ্তির ভাগ বেশি হওয়ার সম্ভাবনাই বাড়ে।