কাজে এল না মোদি ম্যাজিক। ম্যাজিক সংখ্যা পেরিয়ে কর্ণাটকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল কংগ্রেস। হাত শিবিরের জয়ে বিজেপিশূন্য গোটা দক্ষিণ ভারত। ‘বিজেপির শেষের শুরু’, কর্ণাটক দেখে প্রতিক্রিয়া মমতার। কর্ণাটকের বিপর্যয়ের ক্ষতে প্রলেপ উত্তরপ্রদেশ। যোগীরাজ্যের পুরভোটে মুখরক্ষা বিজেপির। কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হাজির সলমন খান। মহানাটক শেষে বাড়ি ফিরলেন ইমরান খান। ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 12 মে 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বাতিল ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি, আইনি পথে হাঁটার ইঙ্গিত পর্ষদের
আরও শুনুন: 11 মে 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- এবার ডাক্তারিতেও ডিপ্লোমা কোর্স, নবান্নে প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
1. চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্ণাটকে বড় ধাক্কা বিজেপির। ২২৪ আসনের ভোটে ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল কংগ্রেস। ভোটগণনার শেষে কংগ্রেসের দখলে ১৩৬টি আসন। বিজেপি পেয়েছে ৬৫ আসন এবং জেডিএস ১৯টি, অন্যান্যদের ভাগে পড়েছে ৪টি আসন। জয়ী দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আপাতত এগিয়ে সিদ্দারামাইয়া।
কংগ্রেসের জয়ের পর রাহুল গান্ধীর প্রতিক্রিয়া, ঘৃণার রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে মানুষ। ঘৃণার মধ্যে ভালবাসা ছড়াতে এসেছেন তিনি, ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন এটাই ছিল রাহুল গান্ধীর আপ্তবাক্য। সেই সময় টানা ২২ দিন কর্ণাটকের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত চষে বেড়িয়েছেন তিনি। তাই এই জয়ের কৃতিত্ব অনেকটাই রাহুল এবং ভারত জোড়ো যাত্রাকে দিতে চাইছে কংগ্রেস। পরিসংখ্যান বলছে, রাহুল যে যে বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের প্রচার করেছেন, সেই কেন্দ্রগুলির ৭৫ শতাংশের বেশি আসনে জিতেছে কংগ্রেস। যেখানে মোদির সাফল্যের হার ৪৫ শতাংশ, অমিত শাহর মাত্র ৩০ শতাংশের সামান্য বেশি। বস্তুত মোদি ম্যাজিক যেমন কাজে আসেনি, তেমনই হিন্দুত্ব ও রাষ্ট্রপ্রেমের প্রচারেও ফল মেলেনি। এই ফলাফলের জেরে গোটা দক্ষিণ ভারতেই কার্যত নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে গেরুয়া শিবির। একমাত্র কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে এখন ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি সমর্থিত এনআর কংগ্রেস। তা ছাড়া তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কেরল এবং এখন কর্ণাটক, দক্ষিণের ৫ রাজ্যেই ক্ষমতায় নেই বিজেপি। লোকসভার আগে গোটা বিরোধী শিবিরেই বাড়তি অক্সিজেন জোগাল কর্ণাটক ভোটের ফলাফল।
2. বাংলার মতোই বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করল কর্ণাটকও। কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে কেন্দ্রের শাসকদল। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গড়তে চলেছে কংগ্রেস। আর বিজেপির এই ফলাফলকে ‘শেষের শুরু’ বলেই মনে করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিয়েছে কর্ণাটকের মানুষ। তাদের ধন্যবাদ। মানুষ চাইলে কর্তৃত্ববাদী সরকার, তাদের একচ্ছত্র আধিপত্যকেও দমন করতে পারে।” অর্থাৎ কোনও দল নয়, মানুষের উপরেই যথারীতি আস্থা রাখলেন মমতা। টুইটারে কর্ণাটকের মানুষকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি। তবে নিজের শুভেচ্ছাবার্তায় কংগ্রেসের নাম উল্লেখ করেননি তৃণমূল নেত্রী। দলনেত্রীর সুরেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, “মানুষ চেয়েছে বলেই পরিবর্তন। মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান না করতে চাইলে কোনও ভারত জোড়ো যাত্রা প্রভাব ফেলতে পারত না।” তবে এই প্রত্যাখ্যানের পথ বাংলাই দেখিয়েছে বলে দাবি তাঁর। অভিষেকের কথায়, ২০২১ সালে বিজেপির ঘৃণার রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছিল বাংলা। এদিন সেই পথেই হাঁটল কর্ণাটক। আর কর্ণাটকের জয়ের পর আরও একবার মমতার ফর্মুলাকেই কার্যকরী বলে দাবি করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কোনও একটি দল, বিশেষ করে কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী জোট গড়ার বরাবরই বিরোধিতা করে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বদলে যে রাজ্যে যে রাজনৈতিক দল শক্তিশালী তাঁকে সমর্থন করুক বাকিরা, পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বিজেপিবিরোধীরা যে যেখানে শক্তিশালী, তাদের সামনে রেখেই বিকল্প জোট হোক- এই মর্মে এদিন দলনেত্রীর কথাই আরও একবার তুলে ধরল ঘাসফুল শিবির।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।