সবসময় ঠোঁটে ঠোঁট রাখার দরকার নই, স্রেফ একবার জড়িয়ে ধরলেই যথেষ্ট। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, মানসিক চাপ থেকে মুক্তি কিংবা অবাধ প্রেমের বহিঃপ্রকাশ, সব কিছুর চাবিকাঠি ওই জড়িয়ে ধরাতেই লুকিয়ে আছে। কিন্তু সবসময় কী আর জড়িয়ে ধরার মানুষ পাওয়া যায়! তাই জড়িয়ে ধরার মানুষ খুঁজতে মোটা টাকা খরচ করতেও দুবার ভাবছেন না অনেকেই। বাস্তবে মিলছেও সে সুবিধা। কীভাবে? আসুন শুনে নিই।
একবার জড়িয়ে ধরলেই সমস্ত মানসিক চাপ কমে যাবে। মনে স্ফূর্তি আসবে। নতুন কাজ করার আগ্রহও পাওয়া যাবে। তাই জড়িয়ে ধরার মানুষ খুঁজতে মোটা টাকা খরচ করতে রাজি অনেকেই। হোক না অপরিচিত, পয়সার বিনিময়ে কেউ যদি কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরার সুযোগ দেয়, তাহলে ক্ষতি কীসের। বরং মনের ভার অনেকটাই কমবে। সেই বিশ্বাস নিয়েই সম্প্রতি, ঘণ্টাপিছু সাড়ে সাত হাজার টাকা খরচ করে প্রফেশনাল কাডলার’ এর কাছে গিয়েছেন এক যুবক।
আরও শুনুন: একাধিক পুরুষের সঙ্গে যৌনতার পরেও তিনি কুমারী! রহস্য ফাঁস পর্ন তারকার
তা এই ‘প্রফেশনাল কাডলার’ আসলে কী?
কাডলিং বলতে স্রেফ আদর করাকে বোঝায়। আরও ভালোভাবে বলতে গেলে জড়িয়ে ধরে আদর করা। সেখানে যৌনতার কোনও ছোঁয়া থাকে না। সেই কাজটাই একেবারে প্রফেশনাল ভাবে করেন কানাডার এক ব্যক্তি। পয়সার বিনিময়ে যে কাউকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জড়িয়ে থাকতে পারেন তিনি। সেইসঙ্গে শান্তভাবে আদরও করেন। অবশ্যই উল্টোদিকের মানুষটা কতটা স্বস্তি পাচ্ছে তার উপর নির্ভর করেই আদরের মাত্রা ঠিক করেন তিনি। কেউ যদি অতিরিক্ত ছোঁয়া পছন্দ না করে, তাঁকে কোনওভাবেই জোর করা হয় না। আবার কেউ যদি এই সাহচর্য ভীষণ উপভোগ করেন, তাহলে তাঁর সঙ্গে আরও একাত্ম হয়ে যান তিনি। তবে এরমধ্যে কোথাও যৌনতার ছোঁয়া থাকে না। এমনকি কেউ যদি, আদরের ফলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন তাহলে তাঁকে ধীরে ধীরে শান্ত করেন তিনি। কখনই সুযোগের ব্যবহার করেন না। তাই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে তাঁর কাছে আসেন অনেকেই। সম্প্রতি, এক বছর ২৪ এর যুবক তাঁর কাছে এসেছিলেন মানসিক চাপ কমাতে। বেশ কয়েক ঘণ্টা ওই ব্যক্তির সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন তিনি। আর বদলে ঘণ্টা পিছু সাড়ে সাত হাজার টাকা দিয়ে গিয়েছেন ওই যুবক। কারণ, এই জড়িয়ে ধরার দরুন সম্পূর্ণভাবে মানসিক শান্তি পেয়েছেন তিনি।
আরও শুনুন: সঙ্গম-দৃশ্যে হাজির ৯০০ বার, পড়েছেন মৃত্যুর মুখেও! অভিজ্ঞতার ঝাঁপি খুললেন পর্ন-তারকা
তবে শুধু ওই যুবক নয়। মহিলারাও তাঁর কাছে আসে। এই কাজটাকে একপ্রকার চিকিৎসার মতোই ভাবেন তিনি। মানসিক চাপ কমানোর জন্য, জড়িয়ে ধরা যে অব্যর্থ ওষুধ এমনটা অনেক সময় মনোবিজ্ঞানিরাও বলে থাকেন। তাই সেই উপায় কাজে লাগিয়েই সকলকে সুস্থ করতে চান তিনি। তাঁর দাবি, কাজের চাপে সম্পর্কে থাকা সত্ত্বেও অনেকে জড়িয়ে ধরার সময় পান না। আবার অনেকেরই প্রিয় মানুষটির সঙ্গে এক শহরে থাকার সুযোগ হয়নি। মূলত এরাই এই বিশেষ পরিষেবা নিতে আসেন। সেইসঙ্গে অনেক সাধারণ মানুষও আসেন। তবে এই পেশাকে কোনোভাবেই যৌনপেশার সঙ্গে এক করতে চান না তিনি। বরং যথেষ্ট সম্মানের সঙ্গেই এই কাজটিকে দেখেন তিনি। অন্যদেরও সেই অনুরোধই করেন। বর্তমানে শুধুমাত্র জড়িয়ে ধরে আদর করেই তিনি বেশ ভালো টাকার মালিক হয়েছেন। যদিও তাঁর দাবি, সবাই তাঁর সাহচর্যে খুশি হন বলেই এই বিশাল অঙ্কের টাকা তিনি পেয়েছেন। তাই ভবিষ্যতে আরও অনেকের কাছে এই পরিষেবা নিয়ে পৌঁছে যেতে চান এই প্রফেশনাল কাডলার।