বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রিত সকলেই। কিন্তু কেউ সেজেগুজে নেই। থাকার কথাও নয়। কেননা মানুষের মতো সেজেগুজে বিয়েবাড়িতে যাওয়ার রীতি সেই নিমন্ত্রিতদের জানা নেই। সম্ভবত এই প্রথম কোনও বিয়ের আসরে নিমন্ত্রণ পেল পশু-পাখিরাও। অবাক হচ্ছেন! আসুন তাহলে শুনে নেওয়া যাক এই ঘটনা।
একমাত্র মেয়ের বিয়ে। তাই জমিয়ে আয়োজন করেছিলেন প্রকাশ শরদ। আশেপাশের পাঁচ গ্রামের বহু মানুষ নিমন্ত্রিত। তবে এখানেই শেষ নয়। নিমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিল, পশু-পাখি। এমনকী পিঁপড়েরাও। অবাক করার মতোই ঘটনা ঘটিয়েছেন মহারাষ্ট্রের এই কৃষক।
আরও শুনুন: জোর নেই ধর্ম পরিবর্তনে, তিন হিন্দু সন্তানের মা হয়ে উঠেছিলেন কেরলের সুবাইদা
স্বভাবতই এই বিয়েবাড়ি নিয়ে এই মুহূর্তে আলোচনা তুঙ্গে। কেননা সম্ভবত এর আগে কোনও বিয়ের আসরে পশুপাখিরা নিমন্ত্রিত ছিল না। মেয়ের বিয়েতে জাঁকজমকে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি প্রকাশ। সম্পন্ন কৃষক তিনি। আয়োজনও তাই করেছিলেন জমকালো। প্রায় পাঁচ একর জমি জুড়ে বসেছিল বিয়েবাড়ির আসর। এত বড় জায়গা ছাড়া নিমন্ত্রিতদের আপ্যায়নই বা করবেন কী করে! নিমন্ত্রতিতের সংখ্যা তো কম নয়। আশেপাশের পাঁচ গ্রাম জুড়ে বহুসংখ্যক মানুষের নিমন্ত্রণ ছিল বিয়েতে। তবে নজর কেড়ে নিল মনুষ্যেতররা। গরু, কুকুর, পাখিদের জন্যও আলাদা আলাদা খাবারের ব্যবস্থা করেছিলেন প্রকাশ। পশুপাখিদের পছন্দের খাবার রাখা হয়েছিল নির্দিষ্ট জায়গায়, যাতে তারা মনের খুশিতে ইচ্ছেমতো খাবার খেতে পারে। এলাকার সমস্ত পথকুকুর এসে যেন খেতে পায় সেদিকেও নজর দেওয়া হয়েছিল। আর পাশেই রাখা ছিল দু-বস্তা চিনি। পিঁপড়েরাই বা না-খেয়ে ফিরে যাবে কেন! একমাত্র মেয়ের বিয়ে। মানুষ থেকে পশুপাখি এমনকী পিঁপড়েরাও যাতে খুশি হয়, সে ব্যাপারেও খেয়াল রেখেছিলেন প্রকাশ।
আরও শুনুন: অবাক কাণ্ড! তেতো নয় একফোঁটা, দিব্যি মিষ্টি আশ্চর্য এক নিমগাছের পাতার স্বাদ
ধুমধাম করেই মিটেছে সে বিয়ে। তবে তা নিয়ে গল্প ফুরোচ্ছে না। মানুষদের নেমন্তন্ন করে খাওয়ানো রেওয়াজ তো আছেই। তবে বিয়েবাড়িতে পশুপাখিদের এমন ভোজের আয়োজন এর আগে কেউ দেখেননি। আনন্দ ভাগ করে নিলে বাড়ে! এ কথা সবাই জানেন। তবে সেই ভাগাভাগি যে কেমন হতে পারে, তারই যেন উদাহরণ হয়ে রইল এই বিয়েবাড়ি।