তেতো নয়। এই নিমগাছের পাতা মিষ্টি। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। এমন অদ্ভুত নিমগাছ রয়েছে জনপ্রিয় এক দরগায়। তা কোথায় রয়েছে সেই দরগা? আসুন শুনে নিই।
যতই ওষধিগুণ থাকুক, স্বাদের জন্য নিমপাতা পছন্দ করেন না অনেকেই। এই গাছের পাতা বা ফল এতটাই তেতো হয় যে পাখিরাও মুখ দেয় না। কিন্তু যদি বলি এমনও এক নিমগাছ রয়েছে, যার পাতার স্বাদ একেবারেই তেতো নয়। রীতিমতো মিষ্টি স্বাদের পাতা এই গাছে। নিশ্চয়ই অবাক হবেন! কিন্তু বিহারের এক দরগায় সত্যিই রয়েছে এমন আশ্চর্য গাছ।
আরও শুনুন: পুজো দিলেই সেরে যাবে ক্যানসার, টাইফয়েড… কোথায় আছে এমন মন্দির?
এমনিতেই বিহারের নালন্দা জেলা সারা দেশের মধ্যে জনপ্রিয়। সেখানেই দেশের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়টি ছিল। কিন্তু সেসব এখন অতীত। বর্তমানে নালন্দা মূলত একটি পর্যটন ক্ষেত্র। সেই জেলাতেই রয়েছে এমন অদ্ভুত একটি নিমগাছ। স্থানীয় এক দরগায় ঠিক উপাসনাস্থলের পাশেই গাছটি অবস্থিত। যার আশ্চর্য গুণ সচক্ষে দেখার জন্য, দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন অনেকেই। তবে গাছটির সব পাতাই যে মিষ্টি এমনটা নয়। বলা ভালো গাছের বেশিরভাগ পাতাই সাধারণ নিমপাতার মতোই তেতো। কিন্তু ওই গাছের একটি ডাল দরগার মূল অংশটার উপর ঝুলে থাকে। কেবলমাত্র সেই ডালে থাকা পাতাগুলোই মিষ্টি। তবে এর নেপথ্যে যে বিজ্ঞানের কী যুক্তি আছে, তা সঠিক বলতে পারেন না কেউই। এখানেই রহস্যের শেষ নয়। ওই দরগা চত্বরে রয়েছে তিনটি কুয়ো। অদ্ভুত ভাবে তার মধ্যে একটি কুয়োর জল সমুদ্রের জলের মতো নোনতা। সাধারণত ওই এলাকার জল নোনতা হওয়ার কথা নয়। তার উপর ভূগর্ভস্ত্য জল নোনতা হওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। এদিকে বাকি কুয়োদুটোর জল একেবারেই স্বাভাবিক এবং মিষ্টি। কথিত আছে, কুয়োর ওই নোনতা জল খেলে যে কোনও পেটের রোগ সেরে যায়। তাই অনেকেই পথ্য হিসেবে ওই জল বাড়িতে নিয়ে যান।
আরও শুনুন: প্রেমিকা চাই, সঙ্গে ১২ কোটি টাকাও… বুদ্ধের কানে লাউডস্পিকার লাগিয়ে দাবি যুবকের
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশেষ এক ইসলামিক অনুষ্ঠানে ওই দরগা চত্বরে মেলা বসে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা এসে তখন ভিড় জমান। শুধুমাত্র মুসলিম নয়। এই মেলায় অনেক হিন্দুরাও যান। সকলেই ওই আশ্চর্য নিমগাছের সামনে বসে প্রার্থনা করেন। প্রচলিত বিশ্বাস, ওই দরগা নাকি ৮০০ বছরের পুরনো। আর ওই গাছের বয়স নাকি ৫০০ বছরেরও বেশি। স্বয়ং হজরত মহম্মদের খুব কাছের এক শিষ্য ওই গাছটি রোপণ করেছিলেন। তবে সবই লোকমুখে প্রচলিত কথা। এর সত্যতা নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করতে পারেন। তবে ওই গাছের অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য একেবারেই মিথ্যে নয়। কিংবা ওই নোনতা কুয়োর জলও সত্যিই ওই দরগায় গেলে দেখা যাবে। অন্তত যারা ওই দরগায় গিয়েছেন তাঁদের বয়ান থেকে তেমনটাই জানা যায়।