কুণাল ঘোষের দায়ের করা মানহানির মামলায় বিপাকে বামেরা। শতরূপের সঙ্গে সেলিম ও বিমানকেও সমন আদালতের। ১৩ জুন দিতে হবে হাজিরা। বিজেপিতেই থাকছেন, স্পষ্ট করলেন মুকুল রায়। ওড়ালেন চাপে পড়ে দিল্লি যাওয়ার অভিযোগ। নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে, দাবি মুকুলের। দল সবসময় পাশেই আছে, তৃণমূলের উপরেই আস্থা নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত জীবনকৃষ্ণ সাহার। প্রয়াত খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ রণজিৎ গুহ। ঘরের মাঠে আবার হার নাইট রাইডার্সের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 27 এপ্রিল 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- কালিয়াগঞ্জে জোড়া মৃত্যুতে বনধ বিজেপির, পালটা তৃণমূলের
বিস্তারিত খবর:
1. কুণাল ঘোষের করা মানহানির মামলায় এবার রীতিমতো বিপাকে শতরূপ ঘোষ, মহম্মদ সেলিম, বিমান বসুরা। তিনজনকেই সমন পাঠাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত। আগামী ১৩ জুন তাঁদের আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের সমন হাতে পেয়েই ফের হুঙ্কার ছাড়লেন কুণাল। তৃণমূল মুখপাত্রর খোলা চ্যালেঞ্জ, ‘মুরোদ থাকলে এই সমন উপেক্ষা করে দেখান।’
বাম নেতা শতরূপ ঘোষের গাড়ি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সিপিএমের সদর দপ্তরে বসে সেই মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে কুণাল ঘোষের বাবাকে জড়িয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন শতরূপ। শতরূপের ‘অপমানজনক’ মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন কুণাল। সেই মামলায় যোগ করা হয় বিমান বসু ও মহম্মদ সেলিমকেও। কুণালের অভিযোগ, সিনিয়ের নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে দলীয় দপ্তরে বসে এই ধরনের কথা বলতে পারতেন না শতরূপ। মামলা করার আগে অবশ্য সিপিএমের তিন নেতাকেই আইনি চিঠি পাঠিয়ে তাঁদের ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন কুণাল ঘোষ। কিন্তু সেই চিঠি উপেক্ষা করেন তাঁরা। তারপরই কলকাতা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে মামলা দায়ের করেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক। আর মামলা গ্রহণ করে আদালত বাম নেতাদের সমন পাঠাতেই ফের আক্রমণ শানিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
2. বিজেপিতেই রয়েছেন তিনি। ১২ দিন পর দিল্লি থেকে ফিরে স্পষ্ট করে দিলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়। শনিবার কলকাতায় পা রেখেই তিনি সাফ জানালেন, কারওর চাপে তিনি দিল্লি যাননি। নিজের ইচ্ছেতেই গিয়েছিলেন। প্রয়োজনে আবার যাবেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, দিল্লিতে বিজেপি নেতারা ব্যস্ত রয়েছেন। তাই দেখা হয়নি, তবে সকলের সঙ্গেই ফোনে কথা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর মন্তব্য ঘিরে জল্পনা বেড়েছে। যদিও তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় জানিয়েছেন, “উনি বিজেপি বিধায়ক। কী করলেন তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই।”
আচমকাই মুকুল রায়ের দিল্লি সফর ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। ছেলে শুভ্রাংশু রায়ের অভিযোগ ছিল, তাঁর বাবাকে অপহরণ করা হয়েছে। যদিও সেই জল্পনা আগেই উড়িয়েছিলেন মুকুল। দিল্লি পৌঁছে জানিয়েছিলেন, জে পি নাড্ডা, অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। কিন্তু দিল্লিতে কোনও বিজেপি নেতার সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে দেখা যায়নি। যা দেখে রাজনৈতিক মহল বলছে, দিল্লি থেকে কার্যত শূন্য হাতে ফিরতে হল বাংলার ‘চাণক্য’কে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।