ধর্মের নামে ভাগাভাগি করতে দেব না। রেড রোড থেকে ইদের শুভেচ্ছাবার্তা মমতার। রাজ্যে লাগু হবে না এনআরসি। ফের স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী। শাহকে ফোন ইস্যুতে থামছে না বিতর্ক। তৃণমূলের পাঠানো আইনি নোটিসের জবাব শুভেন্দুর।কালিয়াগঞ্জে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সরকারি বাংলো ছেড়ে দিলেন রাহুল গান্ধী। লখনউয়ের সঙ্গে টানটান ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল গুজরাট টাইটানস।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 21 এপ্রিল 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- এখনই নয় বাড়তি ডিএ, নবান্নে বৈঠকের পর হতাশ আন্দোলনকারীরা
বিস্তারিত খবর:
1. ইদের দিনে রেড রোডের মঞ্চ থেকে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে কোনওমতেই বিভাজনের রাজনীতি চলতে দেবেন না তিনি। এই মর্মে এদিন ফের বিজেপিকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি রাজ্যবাসীকে দিলেন সম্প্রীতির বার্তা।
শনিবার রেড রোড থেকে আরও একবার বিজেপির বিরুদ্ধে ভেদাভেদের রাজনীতি করার অভিযোগে সরব হলেন মমতা। তাঁর “দেশের সংবিধান, ইতিহাস বদলাতে চাইছে বিজেপি। বিভেদের রাজনীতি করছে। ভেদাভেদের রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। রাজ্যে NRC করতে দেব না। প্রাণ দিয়ে দেব। তবু দেশভাগ হতে দেব না।” সাধারণ মানুষের উদ্দেশে মমতার বার্তা, “কোনও রাজনৈতিক দলের প্ররোচনায় পা দেবেন না।” সকলের কাছে একসঙ্গে থাকার, শান্তি বজায় রাখার আরজি জানালেন তিনি। যারা দেশ ভাগ করতে চাইছে, তাদের পরিণতি ভাল হবে না, বলে এদিন বিজেপিকে নিশানা করলেন অভিষেকও। যারা ভেদাভেদ চায়, তাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াইয়ের আহ্বানও জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আর ভেদাভেদের রাজনীতির বিরুদ্ধে সম্প্রীতির পথ ধরেই এদিন উন্নয়নের বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
2. শাহকে ফোন করা ইস্যুতে থামছে না বিতর্ক। এবার তৃণমূলের পাঠানো আইনি নোটিসের পালটা চিঠি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর জবাবি চিঠিতেই ফের তৃণমূলকে একহাত নিলেন বিরোধী দলনেতা।
তৃণমূল জাতীয় দলের তকমা হারানোর পর খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে ফোন করেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীর এই দাবি ঘিরে সরগরম বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। মিথ্যে অভিযোগ তোলার কারণে শুভেন্দুকে আইনি নোটিস পাঠানো হয় তৃণমূলের তরফে। তার জবাবে এবার পালটা চিঠি দিয়ে বিরোধী দলনেতার তরফে তাঁর আইনজীবী জানালেন, ‘অল ইন্ডিয়া’ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী তৃণমূল এখন আর জাতীয় দল নেই। তাই এই নামের কোনও দল বা সেই দলের চিঠির আইনি বৈধতা নেই বলে আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দুর আইনজীবী। এর পর তাঁর বিষয়ে অপমানজনক কোনও মন্তব্য করা হলে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁকে পালটা দিতে ছাড়েনি ঘাসফুল শিবিরও। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের তোপ, “নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করে জাতীয় তকমা ছিনিয়ে নেওয়া মানে এই নয়, দলের নাম বদলে যায়। এই ন্যূনতম জ্ঞান না থাকলে বিরোধী দলনেতার রাজনীতি থেকে পদত্যাগ করা উচিত।” সব মিলিয়ে বিরোধী দলনেতার বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।