টানা ১২ ঘণ্টা ধরে সঙ্গম করেছেন এক যুবক। স্রেফ কথার কথা নয়। দুই বান্ধবীর চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে ১২ ঘণ্টা যৌনতায় মাততে দ্বিধা করেননি যুবকটি। বাজি হারতে তিনি রাজি নন মোটেও। তা শেষমেশ কী হাল হল ওই যুবকের? বাজি কি জিতলেন? আসুন শুনে নিই।
চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন দুই ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। তা-ও আবার যেমন-তেমন চ্যালেঞ্জ নয়, একেবারে যৌন-চ্যালঞ্জ। দুই তরুণীর সাফ কথা, নারীরা চাইলেই ১২ ঘন্টা সঙ্গমে মেতে থাকতে পারেন। কিন্তু পুরুষ কি পারবে! এই কথা শুনেই যুবক জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি রাজি। অর্থাৎ ১২ ঘণ্টার ম্যারাথন যৌনতায় যে তাঁর বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই সে কথা বলে দেন বান্ধবীকে। শুধু মুখের কথা নয়, কাজেও নিজেকে প্রমাণ করার জন্য রীতিমতো উৎসাহী যুবক মেতে ওঠেন ম্যারাথন যৌনতায়।
আরও শুনুন: ভারতীয় ‘কামসূত্র’ দিল খোঁজ, যৌনতৃপ্তির নতুন উপায় পেয়ে বেজায় খুশি ভিনদেশি মডেল
এমনিতে যুবক আর দুই বান্ধবীর মধ্যে বেশ ভালই সম্পর্ক। বন্ধুত্বের সম্পর্কে যেমন হয়, টুকিটাকি খুনশুটি চলতই। সেরকমই একদিন দুই বান্ধবী বলে বসেন যে, একজন পুরুষ কখনওই ১২ ঘণ্টা সঙ্গমে লিপ্ত হতে পারবেন না। শুনে বেশ চটেই যান ওই যুবক। তার উপর আবার বান্ধবীরা জানিয়েছিলেন যে, এমন কাজ করতে পারলে মিলবে নগদ তিন লক্ষ টাকা পুরস্কার। আর যুবক যদি তা না পারেন, তাহলে একই অঙ্কের টাকা দিতে হবে বান্ধবীদের। বান্ধবীদের এই যৌন-চ্যালেঞ্জ শুনেই উত্তেজিত হয়ে যান ওই যুবক। জানিয়ে দেন যে, তিনি পারবেন এই কাজ করতে। বান্ধবীদেরও যৌনতা নিয়ে কোনও ছুঁতমার্গ ছিল না। অতএব তিনজনেই মেতে ওঠেন যৌনতায়। ঠিক হয়, ১২ ঘণ্টার আগে এই যৌন খেলা শেষ হবে না। এদিকে ১২ ঘন্টা নিজেকে যৌন ভাবে সক্ষম রাখতে গিয়ে বেশ চাপের মুখেই পড়েছিলেন ওই যুবক। তবে চ্যালেঞ্জ পূর্ণ করেন। টানা ১২ ঘণ্টা দুই বান্ধবীর সঙ্গে সঙ্গম করেন ওই যুবক। আর কথামতো, নগদ তিন লক্ষ টাকাও পান হাতে।
আরও শুনুন: নগ্ন হয়েই যাওয়া যায় শপিং মল, রেস্তরাঁয়! এই নগ্ন-নগরীই হানিমুনের সেরা ঠিকানা
তবে বাজি জেতার আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। একটু পরেই বুকে ব্যথা শুরু হয় যুবকের। বান্ধবীরা ভাবেন, যৌনতার ধকলের দরুণ ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন যুবক। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই জ্ঞান হারান ওই যুবক। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎঅকরা। মৃত্যুর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, বাজি জেতার লক্ষ্যে মাত্রাতিরিক্ত ভায়াগ্রা খেয়ে ফেলেছিলেন ওই যুবক। তাতে বাজি জিতেছেন বটে, তবে ছাড়তে হয়ীছে প্রাণের মায়া। বন্ধুত্বের মধ্যে এমন চ্যালেঞ্জ কি থাকা উচিত, যা বন্ধুর প্রাণহানি ঘটাতে পারে! রাশিয়ার এই ঘটনায় অবশ্য সে প্রশ্নও উঠেছে।