অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতে ‘চাপ’ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বিস্ফোরক দাবি নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের। বিচারককে জানালেন চিঠি দিয়ে। কড়া নিরাপত্তায় রাজ্যে পালিত হনুমান জয়ন্তী। বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি বাঁশবেড়িয়ায়। ডিএ ইস্যুতে এবার হস্তক্ষেপ হাই কোর্টের। দালাল চক্র ঠেকাতে এবার ‘দুয়ারে পুরসভা’। সিবিআই স্ক্যানারে বিদেশি সংস্থা অক্সফ্যাম।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 4 এপ্রিল 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- হাওড়ার অশান্তিতে ‘বহিরাগত’ যোগ, বিজেপিকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
1. অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতে চাপ দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। বৃহস্পতিবার বিচারককে দেওয়া চিঠিতে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য আমায় চাপ দেওয়া হচ্ছে। আদালতকে চিঠি দিয়ে সবটা জানিয়েছি।”এদিন নিয়োগ দুর্নীত্তে ধৃত কুন্তল ঘোষ, নিলাদ্রী ঘোষ ও তাপস মণ্ডলকে আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে তিনজনেরই জামিনের আবেদন করেন তাঁদের আইনজীবীরা। তবে পালটা বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। বিচারককে তিনি বলেন, “প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টাকা তোলার ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক দর ছিল। নম্বর বাড়াতে আলাদা আলাদা দরে নেওয়া হয়েছে টাকা। কেউ ৬৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন, তার ৭২ শতাংশ করার ক্ষেত্রে দর আলাদা, আবার কেউ ৭০ শতাংশ পেয়েছেন তার ৭২ শতাংশ করার ক্ষেত্রে দর আলাদা। এই ভাবে শতাংশের বিচারে টাকা নেওয়া হয়েছে।” ফলত সওয়াল জবাব শেষে ফের ওই তিনজনের জামিনের আরজি ফের খারিজ করে দেন বিচারক। আপাতত তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর বিশেষ আদালত। আগামী ২০ এপ্রিল আদালতে পেশ করা হবে তিনজনকে।
2. বাঁশবেড়িয়ায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ছাড়া বৃহস্পতিবার কার্যত শান্তিপূর্ণ ভাবেই কাটল হনুমান জয়ন্তী পালন। রাম নবমীতে অশান্তি হওয়ার দরুন হনুমান জয়ন্তী ঘিরে ছিল কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা। হাই কোর্টের নির্দেশে এদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে টহল দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাহিনীর কাজ এদিন খতিয়ে দেখেন স্বয়ং রাজ্যপালও। এদিকে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাঁশবেড়িয়া। নিয়ম ভেঙে এদিন মিছিলে অস্ত্র হাতে মিছিলকারীদের দেখা মেলে। তাদের নিরস্ত্র করতে তৎপর পুলিশ। মিছিলে যোগ দিতে গিয়ে বাধার মুখে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষমেশ এলাকায় মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। অভিযোগ, বোড়োপাড়া এলাকায় লকেটকে গাড়ি আটকায় পুলিশ। সম্প্রতি রিষড়ায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়। ‘বহিরাগত’ লকেট বাঁশবেড়িয়া গেলে অশান্তি হতে পারে, এই যুক্তিতে তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ। তাতে ক্ষুব্ধ হন লকেট। গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ বচসা হয় তাঁর। পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন লকেট। এরপর রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি সাংসদ। সেখানে হনুমান চল্লিশা পাঠ করতে থাকেন। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী আগেভাগেই মোতায়েন করা হয়েছিল। পরিস্থিতি যাতে আর উত্তপ্ত হতে না পারে, তাই মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীও। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।