যৌনতা সংক্রান্ত নানা ব্যবহারিক উপদেশ লেখা রয়েছে ভারতীয় আকরগ্রন্থ কামসূত্র-তে। আর তা পড়েই নাকি চূড়ান্ত যৌনতৃপ্তির অভিনব উপায়ের সন্ধান পেয়েছেন এক ভিনদেশি মডেল। কী সেই উপায়? শুনে নিন।
প্রাচীন ভারতের গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বাৎস্যায়ন প্রণীত কামসূত্র। কামশাস্ত্রের এই আকরগ্রন্থে মানুষের যৌনতা সম্পর্কিত নানা বিষয় সংকলিত হয়েছে। অর্থাৎ যৌনতার ব্যবহারিক ক্ষেত্রে কী কী করণীয় তার নির্দেশ আছে এই গ্রন্থে। তবে রতিশাস্ত্রের এই গ্রন্থ কেবলমাত্র যৌনতার নামাবলি নয়, বরং কামকলা বিষয়টির গভীরতাই লিখিত হয়েছে এই গ্রন্থে। আর সংস্কৃত ভাষায় লেখা এই কামসূত্রই বদলে দিয়েছে এক ভিনদেশি মডেলের জীবন। তাঁর দাবি, এই গ্রন্থ পড়ার পরই চূড়ান্ত যৌনতৃপ্তি বা অর্গ্যাজমের নতুন উপায় খুঁজে পেয়েছেন তিনি।
আরও শুনুন: মানুষ বড় একঘেয়ে! এবার ভিনগ্রহীদের সঙ্গেই সঙ্গম করতে চান জনপ্রিয় পর্নস্টার
ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মে বেশ জনপ্রিয় মডেল ইয়েলা ভঙ্ক। ৩৯ বছর বয়সে পৌঁছে কামসূত্রের হাত ধরেই তিনি খোঁজ পেয়েছেন যৌনতার নতুন আনন্দের। যৌনতা বিষয়টি অবশ্য তাঁর কাছে নতুন কিছু নয়। যৌনতৃপ্তির চরম স্বাদ বহুবারই পেয়েছেন তিনি। আর সেই আগের অভিজ্ঞতা থাকার দরুনই তিনি বুঝতে পেরেছেন, যে, কামসূত্র কেমন করে তাঁর যৌনজীবনে নতুন এক দরজা খুলে দিয়েছে। এই বয়সে পৌঁছে যৌনতাকে তিনি নতুন করে উপভোগ করা শুরু করেছেন।
আরও শুনুন: গোপন অঙ্গেও রোম থাকবে না সুন্দরীর, কেন চালু হয়েছিল এই ধারণা?
কিন্তু কী সেই উপায়, যার খোঁজ মিলল কামসূত্রে? যৌনতার ক্ষেত্রে নিজের মনকে কীভাবে সক্রিয় করে তোলা যায়, তারই হদিশ তিনি পেয়েছেন। বুঝেছেন, শরীরে উপস্থিত বিভিন্ন চক্রের গুরুত্ব। নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিইয়ন্ত্রণের প্রক্তিয়া। যার মাধ্যমে যৌনতৃপ্তি পৌঁছে যেতে পারে একটি অন্য মাত্রায়। এসবই তিনি কামসূত্র চর্চা করেই জেনেছেন বলে দাবি ওই মডেলের।
আরও শুনুন: পর্ন দেখেই নিয়মিত অভ্যেস হস্তমৈথুনের! বড্ড ভুল হয়ে যাচ্ছে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
তিনি জানিয়েছেন, মনকে ক্রিয়াশীল করেই এখন যৌনতার চরম তৃপ্তিতে পৌঁছে যেতে পারেন তিনি। তাঁর দাবি, যৌনতা থেকে এযাবৎ যা তৃপ্তি পেয়েছেন, তার সঙ্গে এর তুলনাই হয় না। কেননা নয়া উপায়ে অর্গ্যাজমের আনন্দ তাঁর জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা। মডেলের আরও দাবি, অর্গ্যাজমের অতীন্দ্রীয় অনুভূতি যখন মেলে, তখন মনের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনেক দুরূহ কাজও করতে পারে মানুষ। এই চূড়ান্ত তৃপ্তির মুহূর্তে মানুষ কী চাইছে, অর্থাৎ তার কামনা বুঝতে পারলে, আর কায়মনোবাক্যে সে প্রার্থনা করতে পারলে, তা হাতে পাওয়া যায় বলেই দাবি মডেলের। কেননা কিছুদিন আগেই তিনি একজন নতুন সঙ্গীর খোঁজ করছিলেন, এবং তিনি তাঁকে পেয়েও গিয়েছেন। নিজে এই সুখ পেয়ে মডেল বেজায় খুশি।
আরও শুনুন: ছোট হোক স্তনের আকার, আশায় সার্জারির দ্বারস্থ ১৫ হাজার ভারতীয় মহিলা, কেন এই প্রবণতা?
তাঁর দাবি, এইবার তিনি এই বিদ্যা অন্যান্য মহিলাদেরও শিখিয়ে দিতে চান। যাতে তাঁরা যৌনতার চূড়ান্ত তৃপ্তি অনুভব করতে পারেন। একই সঙ্গে জীবনের যা কিছু চাওয়া তা যেন নিজেরাই পূরণ করতে পারেন তাঁরা, এমনটাই চাইছেন এই মডেল। ভারতীয় কামশাস্ত্রের আকরগ্রন্থের ভিতর এতখানি শক্তি আছে, যে এই মডেল একরকম আপ্লুত হয়েই রয়েছেন রতিশাস্ত্রের এই সোনার খনির সন্ধান পেয়ে।