পরীক্ষা শেষ হওয়ার অপেক্ষা কেবল। তারপরেই ছাত্রীকে বিয়ে করে বসলেন এক শিক্ষক। মন্দিরে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার ছল করেই সেখানে বিয়ে সেরেছেন তিনি, অভিযোগ এমনটাই। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
‘যব পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া!’ এমনটাই হয়তো ভেবেছিলেন তিনি। আর তাই পরিবার পরিস্থিতি কোনও কিছুরই তোয়াক্কা করেননি এই ব্যক্তি। যদিও আগে থেকেই বিবাহিত তিনি। এমনকি এক মেয়েও রয়েছে তাঁর। তার পরেও প্রেমের টান বলে কথা। আর তাতেই সমাজ সংসার কোনও কিছুর পরোয়া না করে ভেসে গিয়েছেন তিনি। রীতিমতো ছলচাতুরি করে বিয়েও করে বসেছেন পছন্দের মানুষটিকে। ঘটনাচক্রে যে নাবালিকা, এবং সম্পর্কে তাঁর ছাত্রী। কিন্তু শেষমেশ আর শেষরক্ষা হয়নি। প্রেমের দৌলতেই সোজা শ্রীঘরে যেতে হয়েছে এই ব্যক্তিকে।
কী ঘটেছে ঠিক? তাহলে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: ‘ভগবান কাঁহা হ্যায় রে তু!’ পরীক্ষার খাতায় হিন্দি গান লিখে এল পড়ুয়া
দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করে বসেছেন খোদ শিক্ষক। ছাত্রীর বয়স ১৭, আর শিক্ষকের বয়স ৩৩। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুরে। যদিও এই বিয়েতে ওই ছাত্রীরও যে মত ছিল, তা বলা যাবে না। আসলে সমস্ত কিছুর মূলে রয়েছেন ওই ব্যক্তিই। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম চালাপাথি। একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ান তিনি। আর সেই স্কুলেরই পড়ুয়া ওই নাবালিকা। বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তার প্রতি আকর্ষণ এড়াতে পারেননি ওই শিক্ষক। কিন্তু তার জেরে তিনি যে কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছেন, তা দেখে হতবাক সকলেই।
আরও শুনুন: বিরিয়ানি নয়! এক বছরে ৮,৪২৮ প্লেট খাবার কিনে ৬ লক্ষ টাকা খরচ হায়দরাবাদের ব্যক্তির
সম্প্রতি দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শেষ হয়েছে ওই নাবালিকার। আর পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই তাকে নিয়ে তিরুপতি মন্দিরে বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন ওই শিক্ষক। অভিযোগ, মেয়েটি প্রথমে তাঁর প্রস্তাবে সম্মত হয়নি। কিন্তু একপ্রকার জোরাজুরি করেই তাকে রাজি করিয়ে ফেলেন ওই শিক্ষক। আর তারপর মন্দিরে গিয়েই মেয়েটিকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর ওই নাবালিকার সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ। কিন্তু ওই শিক্ষকের এহেন কীর্তির কথা নিজের বাড়িতে ফাঁস করে দেয় ছাত্রীই। আর তারপরেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয় তার পরিবার। অভিযোগের জেরে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ। পকসো আইনে মামলাও দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। প্রেমের জন্য ঝুঁকি নিতে গিয়ে আদতে ভরাডুবিই ঘটেছে ওই ব্যক্তির।