বাড়তি উপার্জনের আশা কার না থাকে! কিন্তু সেই আশা থেকেই অভিনব পথ বেছে নিয়েছিলেন এই ব্যক্তি। বিচারপতির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পর্নস্টার হিসেবে আরও বেশি আয়ের পথে হেঁটেছিলেন তিনি। কী হল তারপর? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
বিচারপতি নিজেই নাকি নীল ছবির নায়ক! গল্প নয়, সত্যি ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে একইসঙ্গে দুটি পেশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু হল না শেষরক্ষা। শেষ পর্যন্ত ফাঁস হয়ে গিয়েছে তাঁর এই গোপন জীবনের কথাও। আর সব জেনে হতবাক আদালতও।
কী ঘটেছে ঠিক?
আরও শুনুন: পাটনা স্টেশনের পর্ন-কাণ্ডের পরই ‘রহস্যময়’ টুইট, নিজের ভিডিও চিনতে পারলেন তারকা?
জানা গিয়েছে, গ্রেগরি এ লক নামের ওই ব্যক্তি নিউ ইয়র্ক শহরের বাসিন্দা। একটি মার্কিন আদালতে বিচারপতি হিসেবে নিযুক্তও ছিলেন তিনি। কিন্তু এই সমাজমান্য পেশার বাইরেও আরও একটি পেশার দিকে পা বাড়িয়েছিলেন বছর ৩৩-এর এই ব্যক্তি। এমনিতে এক পেশায় যুক্ত থাকার পরেও আরও কোনও পার্টটাইম কাজে যুক্ত হন অনেকেই। কেউ বাড়তি আয়ের প্রয়োজনে, কেউ আবার নিছকই শখ মেটাতে। যদিও সবরকম পেশার ক্ষেত্রে এই সুযোগ থাকে না। সেখানে নিজের পেশার বাইরে অন্য কোনও পেশায় যুক্ত হওয়াকে বেআইনি হিসেবেই দেখা হয়। বিশেষ করে যেসব চাকরিতে বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা গড়পড়তা হিসেবের চেয়ে খানিক বেশি, সেখানে দায়দায়িত্বও অনেক বেশি থাকে। আর তাই সেইসব চাকরিতে নিযুক্ত কর্মীরা অন্য কোনও ক্ষেত্র থেকে নিয়মিত উপার্জন করতে পারেন না, এমনটাই নিয়ম। বলাই বাহুল্য, আদালতের বিচারপতির ক্ষেত্রেও সে কথা প্রযোজ্য। তার উপরে এই পেশার সঙ্গে আইনি নিরপেক্ষতার বিষয়টিও জড়িয়ে আছে। ফলে এই পেশার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে কিছু ব্যবহারবিধিও প্রযোজ্য হয়েই থাকে।
আরও শুনুন: সৈনিকের পেশা বদলে হলেন পর্ন তারকা, কিন্তু স্তন প্রতিস্থাপনের জন্য কী করলেন অভিনেত্রী?
তবে সেইসব নিয়ম নিষেধকে একেবারে তুড়ি মেরেই উড়িয়ে দিয়েছেন এই ব্যক্তি। একটি পর্ন সাইটে নিজের প্রোফাইল খুলে সেখানে নিয়মিত নিজের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতেন তিনি। সঙ্গে থাকত যৌন উসকানি দেওয়া, শরীরী আবেদনপূর্ণ কথাবার্তাও। জানা গিয়েছে, এইসবের জন্য অনুরাগীদের থেকে মাসে ১২ ডলার, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় হাজার টাকা করে নিতেন ওই ব্যক্তি। তাঁর প্রোফাইলটিতে ১০০-রও বেশি এই ধরনের পোস্ট মিলেছে। শুধু তাই নয়, সেখানে নিজেকে বিচারপতি বলে পরিচয় দিতেও দ্বিধা করেননি ওই ব্যক্তি। নিজেকে দিনের বেলার সুচাকুরে আর রাত্রিবেলার যৌনকর্মী বলেও ঘোষণা করেছেন তিনি। আর তাঁর এহেন কাণ্ডকারখানা সামনে আসতেই বেজায় চটেছে নিউইয়র্কের বিচার বিভাগ। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আধিকারিকেরা। অতি লোভে যে সত্যিই তাঁতি নষ্ট হয়, সে কথাই হয়তো এখন বুঝতে পারছেন অভিযুক্ত ওই বিচারপতি।