খাবার সরবরাহ করার ব্যাগেই মিলল আস্ত মমি। কিন্তু পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই আশ্চর্য দাবি ব্যাগের মালিকের। ওই মমিটি নাকি তার প্রেমিকা, এমনটাই জানিয়েছে সেই যুবক। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন শুনে নিই।
প্রাচীন কালে মৃত প্রিয়জনের দেহ মমি হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখার চল ছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই মমি দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে জাদুঘরে কিংবা কোনও সংরক্ষণশালায়। আর সেখানে এই যুবক কিনা একটা আস্ত মমিকেই ব্যাগে পুরে নিয়ে ঘুরছেন! এমন কাণ্ড জানাজানি হতেই চোখ কপালে উঠেছে নেটিজেনদের। কিন্তু এমন সংরক্ষিত বস্তু তার কাছে গেল কী করে? তাহলে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: উনুন নয়, পাথরেই রাঁধা হয় মাংসের সুস্বাদু পদ! কী এই জনপ্রিয় খাবারের ইতিহাস?
ঘটনাটি পেরুর। সেখানকার পুলিশ সম্প্রতি আটক করেছে জুলিও সিজার বার্মেজো নামে ওই যুবককে। বাড়ি বাড়ি খাবার ডেলিভারি করত সিজার। সেই ডেলিভারির ব্যাগে ভরেই একটি মমি নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল সে। যুবকের দাবি, তার বাবা নাকি বছর ৩০ আগে ওই মমি তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেই থেকে মমিটি তাদের সঙ্গেই থাকত। কিন্তু এখানেই চমকের শেষ নয়। ধরা পড়ে সিজার দাবি করে, ওই মমি আসলে তার প্রেমিকা। ভালোবেসে নাকি তাকে ‘জুয়ানিতা’ নামে ডাকত ওই যুবক। তবে এই প্রেম যৌনগন্ধী নয়, জুয়ানিতা আসলে তার আধ্যাত্মিক প্রেমিকা- এমনটাই দাবি সিজারের। প্রাথমিকভাবে পুলিশ আধিকারিকেরা মনে করেছিলেন, মমিটি বিক্রি করার জন্য বাইরে নিয়ে এসেছিল সিজার। তবে ওই যুবকের দাবি, প্রেমিকাকে দেখার জন্য বন্ধুরা আবদার করেছিল। তাই ব্যাগে ভরে মমিটিকে নিয়ে এসেছিল সে।
আরও শুনুন: দ্রৌপদীর হাতেই নাকি তৈরি, ফুচকার দৌলতে এবার বিশ্বসেরার খেতাব জয় কলকাতার
মমিটি পরীক্ষানিরীক্ষা করে গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই মমি কমপক্ষে ৬০০ থেকে ৮০০ বছরের পুরনো। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন মমিটি পেরুর প্রায় ৮০০ কিমি দূরে অবস্থিত একটি প্রদেশের। সেখানকার মানুষদের সঙ্গে নাকি এই মমিটির বেশ মিল রয়েছে। তবে যে মমিকে নিজের প্রেমিকা ভাবছে সিজার, তা আসলে কোনও মহিলার মমি নয়। গবেষকদের অনুমান, এই মমি কোনও এক মধ্যবয়স্ক পুরুষের। মৃত্যুর সময় সেই পুরুষের বয়স বছর ৪৫ ছিল বলেই অনুমান গবেষকদের। আর তাকেই নাকি এতদিন নিজের প্রেমিকা বলে ভেবে এসেছে ওই যুবক। এই কাণ্ড নেটদুনিয়ায় প্রকাশ পেতেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।