গাড়ি, বাড়ি কিংবা সাইকেল নয়, নিজের কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছেন এক যুবক। বাড়ি ভাড়া নেওয়ার আগে অগ্রিম টাকা জমা দেওয়ার জন্যই নাকি কিডনি বিক্রি করে দিতে হবে তাঁকে। এমন বিজ্ঞাপন দেখে হতবাক সকলেই। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন শুনে নিই।
‘বাঁ দিকের কিডনিটি বিক্রি আছে’। এমন ভাষাতেই বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন এক যুবক। স্বাভাবিক ভাবেই এই অদ্ভুত বিজ্ঞাপনের ছবি দেখে কার্যত হাসির রোল ওঠে নেট দুনিয়ায়। কিন্তু এহেন বিজ্ঞাপন দেওয়ার কারণ কী? যুবক জানিয়েছেন, বাড়িভাড়া জোগাড় করতেই নাকি এমন বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন তিনি।
আরও শুনুন: কাজ শেষ করতে অফিসেই কাটাতেন সারা রাত, সেই কর্মীকেও ছাঁটাই করল টুইটার
কিন্তু সত্যিই কি তাই? বাড়িভাড়া জোগাড় করতে কিডনি বিক্রি করতে চাইছেন তিনি! একেবারেই না। স্রেফ মজার ছলে এই বিজ্ঞাপন দিয়েছেন ওই যুবক। বিজ্ঞাপনের আড়ালে নিজের এক প্রয়োজনের কথাই জানাতে চেয়েছেন তিনি।
ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর। দক্ষিণের এই শহরে বাড়ি ভাড়ার পরিমাণ যথেষ্ট বেশি। এছাড়া বাড়ি ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম হল, তিন মাসের ভাড়া অগ্রিম দেওয়া। এই টাকা ‘সিকিউরিটি ডিপোজিট’ হিসেবে বাড়িওয়ালারা নিয়ে থাকেন। এবার, যে বাড়ির মাসিক ভাড়া অনেকটাই বেশি তার সিকিউরিটি ডিপোজিট জোগাড় করতে তো নাজেহাল হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেই কারণের দোহাই দিয়েই এমন অদ্ভুত বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন এই যুবক। তাঁর আসল উদ্দেশ্য একটা বাড়ি খোঁজা। সাধারণ ভাবে বাড়ি খোঁজার বিজ্ঞাপন তো সকলেই দেন। তাই সকলের নজর কাড়তেই এমন অদ্ভুত বিজ্ঞাপন দিয়েছেন ওই যুবক।
আরও শুনুন: সংস্কৃত থেকেই এসেছে ‘আল্লাহ্’ শব্দটি, দাবি বেনারসের শঙ্করাচার্যের
বিজ্ঞাপনটির একেবারে উপরে দেখা যাচ্ছে, বড় হরফে লেখা কিডনি বিক্রির কথা। তার নিচে কিছুটা ছোট হরফে বাড়িভাড়ার কারণটি। একেবারে নিচে ছোট ছোট হরফে লিখেছেন বাড়ি খোঁজার বিষয়টি। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন একটি স্ক্যানারও। যা স্ক্যান করলেই ওই যুবকের প্রোফাইল খুলে যাবে বলে জানিয়েছেন ওই যুবক। বাস্তবে এই বিজ্ঞাপন যাঁদের চোখে পড়েছে তাঁরা কী প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বোঝা না গেলেও, নেটিজেনদের কাছে এই বিজ্ঞাপনের ছবি বেশ আকর্ষক মনে হয়েছে। একইসঙ্গে বাড়িভাড়া জোগাড় করতে কিডনি বিক্রির কথা শুনে হাসির রোল তুলেছেন অনেকেই। তবে অনেকেই তাঁর এই অভিনব বিজ্ঞাপন দেখে প্রশংসাও করেছেন। অনেকে আবার বাড়ি খুঁজে গিয়ে কতটা ভোগান্তি পোহাতে হয় সেই অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে এই যুবক যা চেয়েছিলেন, অর্থাৎ তাঁর এই কাণ্ড সকলের চোখে পড়ুক, বাস্তবে তা সত্যি হয়েছে নেটদুনিয়ার দৌলতে। তবে বাড়ি খুঁজে পেয়েছেন কি না ওই যুবক, সে কথা অবশ্য জানা যায়নি।