‘আল্লাহ্’ শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত থেকেই। নারীশক্তির বন্দনা করতেই হতো এই শব্দের প্রয়োগ। সম্প্রতি এমনই দাবি করলেন বেনারসের গোবর্ধন মঠের অধ্যক্ষ শঙ্করাচার্য। কোন প্রসঙ্গে এমন কথা বললেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
ইসলাম ধর্মে সর্বশক্তিমানকে বোঝাতে ‘আল্লাহ্’ শব্দটি ব্যবহার করেন ধর্মাবলম্বীরা। মূলত এটি আরবি শব্দ, এবং ইসলাম ধর্মের ক্ষেত্রেই এই শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়। তবে এ বিষয়ে অন্য মতের কথাই জানালেন বেনারসের গোবর্ধন পুরী মঠের বর্তমান অধ্যক্ষ শঙ্করাচার্য। তাঁর মতে, ‘আল্লাহ্’ শব্দের উৎস আছে সংস্কৃত শব্দভাণ্ডারেই।
আরও শুনুন: যিশুর আগেও ছিল হিন্দু শব্দের ব্যবহার! পুরীর শংকরাচার্য জানালেন কাদের বলা হত হিন্দু
এই মত অবশ্য নতুন নয়। অনেকেই মনে করেন, ‘আল্লাহ্’ শব্দের শিকড় খুঁজতে গেলে আদতে পৌঁছতে হবে সংস্কৃতের কাছেই। মূলত দেবীবন্দনার ক্ষেত্রে সংস্কৃতে যে যে শব্দ ব্যবহার করা হত, তার মধ্যেই আছে ‘আল্লাহ্’ শব্দটির উৎস। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সেই প্রচলিত মতেই সিলমোহর দিয়েছেন বেনারসের শঙ্করাচার্য। তবে তাঁর এই মন্তব্যের একটি প্রেক্ষিত আছে। কিছুদিন আগে আর-একটি মত উঠে এসেছিল। মৌলানা সৈয়দ আরশাদ মাদানি দাবি করেছিলেন, ‘আল্লাহ্’ ও ‘ওঁ’ শব্দদুটি মূলত একই। এই মন্তব্যের সঙ্গে একেবারেই সহমত নন শঙ্করাচার্য। বরং তাঁর মত যে, সনাতন হিন্দু ধর্মই প্রকৃতপক্ষে ধর্ম। বাকি সবই ভিন্ন ভিন্ন ধর্মীয় পথ বা সম্প্রদায়। আর সেই সূত্রেই তাঁর দাবি, ‘আল্লাহ্’ শব্দটিরও মূল আছে সংস্কৃতেই। তাই তাঁর সাফ কথা, ধর্মীয় বিষয়ে মন্তব্য করার আগে সবথেকে যা জরুরি তা হল, সংস্কৃত ব্যাকরণ খুব ভালভাবে পড়া।
আরও শুনুন: ভক্তদের প্রণামী থেকে মাথার চুল বিক্রি… বিভিন্ন পথে তিরুপতির তহবিলে কোটি কোটি টাকা
স্বভাবতই তাঁর এই মন্তব্যের পর নতুন করে শুরু হয়েছে চর্চা। ভাষাতত্ত্বের দিক থেকে এই মত সমর্থনযোগ্য কি-না, সে প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে বহুসংখ্যক হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস শঙ্করাচার্যের এই মন্তব্যের দরুন যে পোক্ত হল, তা বলাই যায়। এর আগে মক্কা নিয়েও অন্যরকম মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তাঁর দাবি ছিল, ইসলাম ধর্মের পীঠস্থান মক্কায় নাকি রয়েছেন মক্কেশ্বর মহাদেব। তা নিয়েও বিস্তর কথাবার্তা হয়েছে। এবার তাঁর এই নতুন দাবিও যে নতুন করে চর্চা জাগিয়ে তুলবে, তেমনটাই মনে করছেন অনেকে।