বয়স এখন ৬০-এর ঘরে। এর মধ্যেই তিনি বিয়ে করেছেন ২৬ বার। বিচ্ছেদও হয়েছে ২২ বার। যদিও তা নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই। বরং ভবিষ্যতে আরও বিয়ে করতে চান তিনি। লক্ষ্য ১০০ বার বিয়ে করা। পাকিস্তানের এই বিয়েপাগলের গল্প শুনে বেজায় চটেছেন নেটিজেনরা। আসুন শুনে নিই সেই গল্প।
শখ বড় আজব বালাই! কিন্তু তাই বলে বারবার বিয়ে করা কারও শখ হতে পারে? শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। পাকিস্তানের এক ব্যক্তি স্রেফ শখের বশে বিয়ে করেছেন ২৬ বার। ২২ বার তাঁর বিচ্ছেদও হয়েছে। তবু তিনি থামার পাত্র নন। লক্ষ্য মোট ১০০ জনের সঙ্গে বিয়ে করা।
আরও শুনুন: পাকিস্তানের প্রেম-কথা! সামাজিক চোখরাঙানি এড়িয়ে ৫২-র শিক্ষককেই বিয়ে ২০-র ছাত্রীর
বয়স ৬০ বছর। কিন্তু সমবয়সিদের সঙ্গে কোনও দিক দিয়েই মিল নেই তাঁর। অন্যদের মতো একজন সঙ্গীকে নিয়ে সংসার করার ইচ্ছাও নেই। তাঁর একমাত্র কাজ বারবার বিয়ে করা। শুনে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন! বিয়ে করা আবার কারও শখ হতে পারে? কিন্তু এমন কথা নিজেই জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রৌঢ়। সম্প্রতি তাঁর একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানেই সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে নিজের অদ্ভুত শখের কথা জানিয়েছেন তিনি। ভিডিওতে ওই ব্যক্তি ছাড়াও দেখা গিয়েছে ৪ জন মহিলাকে। এঁরাই নাকি ওই ব্যক্তির বর্তমান স্ত্রী। তবে এর আগে আরও ২২ জনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তাঁর। সে-কথাও নিজেই জানিয়েছেন তিনি। রয়েছে ২২ সন্তানও। এই ২২ সন্তানের জন্মদাত্রীকেই অবশ্য তিনি তালাক দিয়েছেন। সাংবাদিক এর কারণ জানতে চাওয়ায় তিনি বলেছেন, এমনটা করাই নাকি তাঁর শখ। ভবিষ্যতে আরও বিয়ে করতে চান। মোট ১০০ বার বিয়ে করাই তাঁর লক্ষ্য। একইসঙ্গে ১০০ শিশুর জন্ম দেওয়াও। এমনকী বর্তমানে যে চারজনের সঙ্গে তিনি সংসার করছেন, তাঁদেরও কিছুদিন পর ‘তালাক’ দেবেন তিনি।
আরও শুনুন: ১৫ জন স্ত্রীর গর্ভে ১০৭ সন্তান, তবুও ফের বিয়েতে আপত্তি নেই বৃদ্ধের
তবে এই কাজের জন্য কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর। কারণ প্রত্যেক প্রাক্তন স্ত্রী-কেই একটি করে ঘর বানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁদের খাওয়া-পরার ভারও তিনিই সামলান। স্রেফ নতুন বিয়ে করার জন্য বিচ্ছেদ করতে হয় তাঁকে। কিন্তু তাঁর এমন স্বভাব নিয়ে কোনও আপত্তি নেই তাঁর বর্তমান স্ত্রী-দেরও। আপত্তি নেই তাঁদের বাড়ির লোকেরও। এ কথা আবার জানিয়েছেন তাঁর বর্তমান চার স্ত্রী। ব্যক্তির দাবি, তিনি ইসলাম ধর্মাবলম্বী। তাঁর ধর্মে এমন কাজ করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। একইসঙ্গে তিনি সকল প্রাক্তনের দায়িত্ব নিতেও অস্বীকার করেন না। তাই শখের বশেই হোক আর অভ্যাসের বশে, তিনি যা করছেন তাতে কোনও ভুল দেখেন না তিনি। তবে তিনি না দেখলে কী হবে! নেটিজেনদের একাংশ মোটেও এই কাজ ভালো চোখে দেখেননি। ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই তির্যক মন্তব্য করেছেন। কিন্তু সেসব নিয়ে অবশ্য কোনও মাথাব্যথাই নেই এই পাকিস্তানি ব্যক্তির।