কামাখ্যা মন্দিরে আসা বহু ভক্তই এই শিবলিঙ্গ সম্বন্ধে তেমন অবহিত নন। যদিও এর অবস্থান মন্দির চৌহদ্দিতেই। কামাখ্যা মন্দিরের অনতিদূরেই আছে একটি কুণ্ড, যাকে বলা হয় ‘পাপমোচন কুণ্ড’। বলা হয়, এই কুণ্ডে অবগাহনে পূর্বজন্মের একটি করে পাপের বিনাশ হয়।
সতীপীঠের অন্যতম হিসাবে প্রসিদ্ধ কামাখ্যা। শক্তি আরাধনা ও তন্ত্র-সাধনার বহু ইতিহাস জড়িয়ে আছে কামাখ্যার সঙ্গে। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, আদি শক্তিপীঠের এই স্থানেই পড়েছিল দেবী সতীর গর্ভ ও যোনি। তাই এই ক্ষেত্রকে উর্বরতার প্রতীক হিসাবে গণ্য করা হয়। হিন্দু শক্তিসাধকের কাছে কামাখ্যা পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। আর এখানে অধিষ্ঠান দেবাদিদেব মহাদেবেরও। শোনা যায়, বছরে মাত্র একদিনই এই শিবলিঙ্গ দৃশ্যমান হয়। বছরের বাকি সময় তা জলের নীচেই থাকে।
আরও শুনুন: হাওয়ার উলটোদিকে ওড়ে ধ্বজা, কম পড়ে না ভোগ, জগন্নাথ মন্দির ঘিরে আছে অলৌকিক রহস্য
কামাখ্যা মন্দিরে আসা বহু ভক্তই এই শিবলিঙ্গ সম্বন্ধে তেমন অবহিত নন। যদিও এর অবস্থান মন্দির চৌহদ্দিতেই। কামাখ্যা মন্দিরের অনতিদূরেই আছে একটি কুণ্ড, যাকে বলা হয় ‘পাপমোচন কুণ্ড’। বলা হয়, এই কুণ্ডে অবগাহনে পূর্বজন্মের একটি করে পাপের বিনাশ হয়। কথিত আছে, যে সব শিশুদের ক্ষেত্রে শারীরিক অসঙ্গতি দেখা যায়, এই কুণ্ডের জলে তাদের অসুখ সেরে যায়। ভক্তদের কাছে এই কুণ্ডের জল অতি পবিত্র। তবে শিবলিঙ্গটি বছরভর দেখা যায় না বলে, অনেকেই দেবাদিদেবের অবস্থান সম্পর্কে জ্ঞাত নন।
আরও শুনুন: রথে উপবিষ্ট জগন্নাথদেবকে দর্শন করলে আর থাকে না পুনর্জন্মের ভাবনা
এই কুণ্ডেরই একেবারে তলদেশে অবস্থান শিবলিঙ্গটির। প্রায় ৩০-৩৫ ফুট গভীর কুণ্ডের একেবারে নীচে পৌঁছতে হয় প্রস্তরনির্মিত সিঁড়ি দিয়ে। তবেই দেখা মেলে পিনাকেশ্বরের। শিবরাত্রি উপলক্ষে কুণ্ডের জল কৃত্রিম ভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়। তখনই দর্শন মেলে শিবলিঙ্গের। শিবরাত্রির মহাক্ষণে আরাধনা হয় মহাদেবের। সৌভাগ্যবান ভক্তেরা এই একদিনই শিবলিঙ্গের দেখা পান। এরপর আবার জলে ভরিয়ে দেওয়া কুণ্ডটিকে। ফলে বছরের বাকি দিনগুলো পুনরায় নিমজ্জিত অবস্থাতেই থাকে শিবলিঙ্গটি। মনে করা হয়, শিবলিঙ্গের অধিষ্ঠানের কারণেই এই কুণ্ড অতি পবিত্র। কুণ্ডের কাছে এসে ভক্তরাও অপূর্ব এক অলৌকিক শক্তি অনুভব করেন। স্থানীয়দের বিশ্বাস, কামাখ্যা মন্দির যেমন প্রাচীন, তেমনই প্রাচীন এই শিবলিঙ্গটিও। তবে কামাখ্যা মন্দিরের পাশ্বর্বর্তী অন্যান্য মন্দিরে দেবতাদের দর্শন পেলেও, বছরে কেবল একটা দিনই ভক্তদের দর্শন দেন কামাখ্যার পিনাকেশ্বর।