লাভ জিহাদ ইস্যুতে ফের বিতর্কিত মন্তব্য হিন্দুত্ববাদী নেতার। একজন হিন্দু মেয়েকে হারালে তার বদলে দশজন মুসলিম মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে জড়ানোর নির্দেশ দিলেন তরুণদের। এমনকি এমনটা করলে মিলবে চাকরিও, প্রতিশ্রুতি দিলেন ওই নেতা। ঠিক কী বলেছেন তিনি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
একজন হিন্দু মহিলাকে যদি কোনও মুসলিম পুরুষ বিয়ে করে, তবে ১০জন মুসলিম মহিলাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলতে হবে। প্রকাশ্য সভা থেকে হিন্দু যুবকদের এমনটাই নির্দেশ দিলেন এক হিন্দুত্ববাদী নেতা। শ্রীরাম সেনা দলের প্রধান প্রমোদ মুতালিক-এর সাফ কথা, ‘লাভ জিহাদ’-এর ঘটনা ঘটলে এভাবেই দিতে হবে তার পালটা জবাব। এমনকি কোনও হিন্দু তরুণ এই কাজ করলে তার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি দলের তরফে তাকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন ওই নেতা। প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়ে তাঁর এহেন মন্তব্য করার জেরে এই ইস্যুতে ফের উসকে উঠেছে বিতর্ক।
আরও শুনুন: শিবের মাথায় জল ঢালতে যাওয়া ভক্তদের বিয়ারের ক্যান বিলি, গ্রেপ্তার যুবক
হিন্দু এবং মুসলিমের মধ্যে বিয়ের ঘটনা ঘটলে প্রায়শই তাকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে দাগিয়ে দিয়ে থাকেন উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। তাঁদের দাবি, কোনও প্রেম ভালবাসার টানে নয়, এই বিয়ে নিছকই এক ধর্মীয় চাল। আসলে হিন্দু মেয়েদের ভুলিয়েভালিয়ে বিয়ে করতে চায় মুসলিম ধর্মাবলম্বী পুরুষেরা। তারপর জোর করে মেয়েটির ধর্মান্তর করে এবং তার গর্ভে একাধিক সন্তানের জন্ম দিয়ে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ানোই তাদের লক্ষ্য, এমনটাই দাবি হিন্দুত্ববাদীদের। এর আগেও ‘লাভ জিহাদ’-এর বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়তে দেখা গিয়েছে হিন্দুত্ববাদীদের। হিন্দু মেয়েদের রক্ষা করাই তাঁদের উদ্দেশ্য, এমনটাই দাবি তাঁদের। আর এই ইস্যুতেই এবার কর্ণাটকের বাগালকোটের এক সভা থেকে সরব হয়েছেন শ্রীরাম সেনা দলের প্রধান। তাঁর দাবি, লাভ জিহাদে হিন্দু মেয়েদের ব্যবহার করা হচ্ছে। গোটা দেশ জুড়ে হাজার হাজার মেয়েকে এভাবেই প্রেমের নামে ভোলানো হচ্ছে। হিন্দু তরুণীদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি এই বক্তব্যে হিন্দু যুবকদেরও লাভ জিহাদ রোখার নির্দেশ দিয়েছেন ওই নেতা। আর সেই নির্দেশ দিতে গিয়েই এহেন বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তিনি। যার জেরে আরও একবার ভিনধর্মের বিয়ে নিয়ে উসকে উঠল বিতর্ক।