মেট্রোর মধ্যে যাত্রীরা আচমকা দেখা পেয়েছিলেন ‘ভুলভুলাইয়া’ সিনেমার মঞ্জুলিকার। পর্দার চরিত্রকে বাস্তবে দেখে চমকে উঠেছিলেন সকলে। কেউ ভয় পেয়েছিলেন, কেউ আবার মজাও পেয়েছিলেন। তবে কেন যে মঞ্জুলিকা মেট্রোয় এসেছিল, তা প্রাথমিক ভাবে জানা যায়নি। অবশেষে সেই কারণ প্রকাশ্যে এসেছে। আর তাই জানা যাচ্ছে, এ নিছক রসিকতা নয়। তাহলে নেপথ্যে কী কারণ? আসুন শুনে নিই।
মেট্রোসফরে আচমকা যদি মঞ্জুলিকার দেখা পাওয়া যায়, তবে কী হবে? এর উত্তর এক দিন আগে পর্যন্তও কারোর কাছে ছিল না। পর্দার চরিত্র মানুষের মনে যতই গেঁথে থাক না কেন, বাস্তবে সে সামনে এসে দাঁড়াবে, এরকম কেউ কল্পনা করেন না। অতচ দিল্লি মেট্রোয় ঘটেছে ঠিক সেই ঘটনাই। সফররত যাত্রীরা আচমকা দেখেছেন, পাশেই দাঁড়িয়ে আছে মঞ্জুলিকা। ঠিক বিদ্যা বালানকে ছবিতে যেভাবে দেখা গিয়েছিল, সেভাবেই। একই বেশভূষা। একই রকম আচার-আচরণ। এমনকী কথা বলার ধরন ও কন্ঠস্বরও একই রকম। স্বাভাবিক ভাবেই সকলে চমকে উঠেছিলেন। এক যুবক তো রীতিমতো ভয় পেয়ে জায়গা ছেড়ে দৌড়ও দিয়েছিলেন।
আরও শুনুন: চলন্ত মেট্রোয় হঠাৎ হাজির ‘ভুলভুলাইয়া’র মঞ্জুলিকা, দেখে পড়িমরি দৌড় যাত্রীদের
কিন্তু কেন এই মঞ্জুলিকার আবির্ভাব? তা কারোর কাছেই স্পষ্ট ছিল না। আর তাই খানিক সমালোচনাও হচ্ছিল এ ঘটনা নিয়ে। কেউ কেউ মজার ছলে নিলেও, অনেকেই আবার এই ঘটনাকে প্র্যাঙ্ক বা ভয় পাইয়ে দেওয়া রসিকতা বলে মনে করেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল স্পষ্ট। মেট্রো সফরে যাত্রীরা নিজেদের মতো করে যাচ্ছিলেন। সেখানে এরকম প্র্যাঙ্ক করা উচিত না। তাতে যাত্রীদের যে অসুবিধা হতে পারে, সে কথাও মাথায় রাখা উচিত ছিল। তবে মজা ভেবেই অনেকে ব্যাপারটিকে হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। এমনকী যে তরুণী মঞ্জুলিকার অভিনয় করেছিলেন, তাঁর অভিনয় যে অতি-অভিনয় বা ওভার-অ্যাক্টিং, এ কথা শুনিয়ে দিতেও ছাড়েননি কেউ কেউ।
আরও শুনুন: টাকা গুনতেই জানে না পাত্র, বিয়ের আসরে জানা মাত্র বিয়ে ভাঙলেন কনে
অবশেষে জানা গেল কারণ। এ আসলে কোনও প্র্যাঙ্ক নয়, বরং বিজ্ঞাপন। বোট এবং নেটফ্লিক্সের যুগলবন্দিতে এসেছে এই বিজ্ঞাপন। ‘বোট’ সংস্থাটির সঙ্গে প্রায় সকলেই পরিচিত। সংস্থার দাবি, তাদের তরফে নতুন যে হেডফোনটি বাজারে আনা হয়েছে, তার শব্দ এমন, যে, শুনলে মনে হবে প্রিয় চরিত্ররা বাস্তবে এসে হাজির হয়েছে। এই আইডিয়াটিকে শুধু খাতায়-কলমে সীমাবদ্ধ রাখেননি সংস্থার কর্তারা। সত্যিই প্রিয় কোনও চরিত্র বাস্তবে এলে কী হয়, তা হাতে-কলমেও পরীক্ষা করে দেখতে চেয়েছিলেন তাঁরা। সেই ভাবনা থেকেই তাঁদের এই অভিনব প্রচার। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সংস্থাটি এই ভাইরাল ভিডিও-র নেপথ্য কাহিনি সামনে এনেছেন। সর্বভারতী এক সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, নয়ডা মেট্রো কর্তৃপক্ষও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই এই ধরনের বিজ্ঞাপনী ভাবনার বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। অতএব যে ঘটনাকে নিছক রসিকতা ভাবা হয়েছিল, তা নয় জেনে এখন সত্যিই বিস্মিত হয়েছেন অনেকেই।