বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্র-সুপ্রিম কোর্টের দ্বন্দ্বে এবার সরব মমতা।কলেজিয়াম বিতর্কে কেন্দ্রকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর। রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক শিক্ষামন্ত্রী এবং উপাচার্যদের। এজলাস বয়কটকে কেন্দ্র করে এবার আরও কঠোর আদালত। মাধ্যমিকের টেস্ট পেপারে ‘আজাদ কাশ্মীর’ নিয়ে প্রশ্নে বিতর্ক। যোশীমঠের মতোই বিপর্যস্ত হতে পারে রানিগঞ্জ, আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রীর। নাড্ডাতেই ভরসা বিজেপির। আর যুদ্ধ নয়, এবার কাশ্মীর নিয়ে শান্তির বার্তা পাকিস্তানের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 15 জানুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা, ৫ ভারতীয়-সহ মৃত্যু ৭২ জনেরই
বিস্তারিত খবর:
1. বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্র সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, কেন্দ্র যখন নতুন করে এই ধরনের পরিকল্পনা করছে, তখন নিশ্চয়ই তাদের কোনও উদ্দেশ্য আছে। তিনি স্পষ্টই জানিয়েছেন, বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতার সঙ্গে কোনওরকম আপস করা উচিত নয়। সম্প্রতি কলেজিয়াম বিতর্কে নয়া মাত্রা যোগ করেছে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর একটি চিঠি। বিচারপতি নিয়োগে সরকারের প্রতিনিধিদের শামিল করার কথা বলেই ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে। ঠিক তার পরেই এদিন তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই বিষয়ে মুখ খোলেন মমতা। তিনি বলেন, “আমরা বিচারব্যবস্থার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা চাই। কলেজিয়ামে কেন্দ্রের প্রতিনিধি থাকলে রাজ্য সরকারেরও প্রতিনিধি থাকা উচিত। এখন বিচারব্যবস্থায় রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিনিধি থাকে না। হাই কোর্টে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কলেজিয়াম কোনও সুপারিশ পাঠালে সেটা কেন্দ্র বাতিল করে দিতে পারে। কেন্দ্রের প্রতি সমর্থন না থাকলেই বিচারপতিদের নাম বাদ যাচ্ছে। এটা হলে কেন্দ্র সরাসরি বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পাবে।” কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, “হাস্যকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। গণতন্ত্র বিপন্ন। এখন সব জায়গায় কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করছে।” দেশের বিচারব্যবস্থাকে কেন্দ্র কুক্ষিগত করতে চাইছে বলে অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেসও। এবার এই বিষয়ে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
2. বিরোধ নয়, শিক্ষার উন্নতিতে সমন্বয় রেখেই কাজ করতে চায় রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর এবং রাজভবন। মঙ্গলবার উপাচার্যদের সঙ্গে রাজ্যপাল এবং শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক শেষে একযোগে এমনই বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের আমলে শিক্ষা দপ্তর এবং রাজভবনের সংঘাত ছিল তুঙ্গে। তবে সি ভি আনন্দ বোসের সময় পরিস্থতির অনেকটাই বদল হয়েছে। মঙ্গলবাররের বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, ”রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক ইতিবাচক। তিনি আমাদের থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হালহকিকত খুঁটিনাটি খবর নিয়েছেন। রাজ্য সরকার ও শিক্ষা দপ্তরের উপর পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন।” তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এবার থেকে আর কোনও বিরোধ নয়। সমন্বয় রেখে কাজ হবে। একই সঙ্গে এদিন শিক্ষামন্ত্রী কার্যত ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যপালই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য থাকছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন তিনি একাধিকবার রাজ্যপালকে আচার্য হিসাবেই সম্বোধন করেছেন। রাজ্যপালের সঙ্গে আগামীতে কোনওরকম সংঘাতে যে যেতে চাইছে না রাজ্য সরকার, শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যেই তা স্পষ্ট বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।