বিশ্বকাপ মানেই অজস্র রেকর্ডের ছড়াছড়ি। খোদ লিওনেল মেসিই ফাইনালের দিন প্রায় হাফ ডজন নজির গড়েছেন। এমনকী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টও গড়েছে নয়া রেকর্ড। বিশ্বকাপের সময় গুগলও গত ২৫ বছরে সর্বোচ্চ ট্রাফিকের রেকর্ড গড়েছে। আর এতকিছুর ভিড়ে আরও এক রেকর্ড হয়েছে। চলতি বিশ্বকাপে সব ম্যাচ দেখে রেকর্ড গড়েছেন এক তরুণ ফুটবলপ্রেমী। আসুন তাঁর কথা শুনে নিই।
ফুটবল শুধু খেলা নয়, ভালোবাসার অন্য নাম। আর সেই ভালবাসার তানেই সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে বিশ্বকাপের আসরে ভিড় জমান কত না দেশের মানুষ। দূরের দেশ, থাকা-খাওয়ার অসুবিধা, কোনও হিসাবই তাঁরা ধর্তব্যের মধ্যে ধরেন না। কী কষ্ট হবে না হবে, তার পরোয়া করেন না কেউই। চলতি বিশ্বকাপেই দেখা গিয়েছিল, এক আর্জেন্টিয়ান ভক্ত হোটেল না পেয়ে বাইরেই রাত কাটাচ্ছেন। গায়ে জড়ানো আছে প্রিয় দেশের পতাকা। কতজন তো নিজেদের আজীবনের সমস্ত সঞ্চয় খরচ করে পৌঁছে যান বিশ্বকাপ দেখতে। এই উন্মাদনা, এই আবেগের নামই ফুটবল। আর সেই আবেগে ভেসেই বিশ্বরেকর্ড করলেন এক ব্রিটিশ তরুণ। চলতি বিশ্বকাপে ৬৪টি ম্যাচই দেখলেন তিনি।
আরও শুনুন: মেসি কেন পেলেন গোল্ডেন বল? ‘ফিফা’র উপর রেগে আগুন ক্রোয়েশিয়ার সেই সুন্দরী
কাতারে এবারে বেশ অল্পদিনের মধ্যেই শেষ হয়েছে বিশ্বকাপ। দ্রুত শেষ করার কারণেই, গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে কোনও কোনও দিন একাধিক ম্যাচ হয়েছে। ফলে যতই ফুটবল ভালবাসুন না কেন, একই সময়ে দুটো ম্যাচে, দুটো আলাদা স্টেডিয়ামে হাজির হওয়া চাট্টিখানি কথা ছিল না। কিন্তু ওই যে, ফুটবল হল একরকমের পাগলামি। তাই কোনও বাধাই শেষমেশ এই ব্রিটিশ তরুণের পথরোধ করতে পারেনি।
আরও শুনুন: টিমের কর্মীদের স্বার্থে করোনাকালে ৭০% কম বেতন, সবার চোখে মেসিই ছিলেন চে গেভারা
জানা গিয়েছে, তরুণের নাম থিও। তিনি একজন ইউটিউবার। এবারের বিশ্বকাপে ৬৪টি ম্যাচেই উপস্থিত ছিলেন তিনি। ইতিহাসে তিনিই প্রথম ব্যক্তি, যিনি কোনও একটি বিশ্বকাপে সবকটি ম্যাচ দেখলেন। অর্থাৎ কাতারে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন থিও। বিশ্বকাপ শেষে তিনি জানিয়েছেন, এই পুরো যাত্রাপথ জুড়ে মিলিয়ে-মিশিয়ে নানারকম অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁর। অনেক চড়াই-উতরাই ছিল। তবে সব মিলিয়ে এই রেকর্ড স্পর্শ করতে পেরে তিনি তৃপ্ত। রেকর্ডের অধিকারী হয়ে একটি পার্সোনালাইজড ম্যাচবল উপহার পেয়েছেন তরুণ থিও। পরের বিশ্বকাপে আরও বেশি দেশ অংশগ্রহণ করতে পারে বলেই জানিয়ে রেখেছে ফিফা। সেক্ষেত্রে তাঁর এই রেকর্ড স্পর্শ করা ভবিষ্যতে প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠবে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। অথবা সে রেকর্ডও ভেঙে দেবেন তরুণ কোনও ফুটবলপ্রেমী। আপাতত থিওর এই রেকর্ডই সোনার অক্ষরে লেখা থাকল ইতিহাসের পাতায়।
What a World Cup that was…😅
64/64 World Cup matches attended and the Argentines took it home.
A mix of emotions, many ups and downs but an unreal experience. Thank you all. pic.twitter.com/yTenpOlVvw
— Theo (@Thogden) December 20, 2022