আসানসোল দুর্ঘটনার জের। মৃতদের বাড়িতে গেলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। ‘কম্বলের রাজনীতি করা হয়েছে’, শুভেন্দুকে তোপ শশী পাঁজা, সায়নী ঘোষের। লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় এবার সিবিআইকে নোটিস সিআইডি-র। ক্যাম্পে সিসিটিভি থাকলে তার ফুটেজ চাইল রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা। শাকিবদের উড়িয়ে টেস্ট জিতল ভারত। ১৮৮ রানের বিরাট জয় পূজারাদের। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. শুভেন্দু অধিকারীর সভায় বিশৃঙ্খলার জেরে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ব্যাকফুটে বঙ্গবিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি আরও বাড়াতেই রবিবার আসানসোলে গেল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। দলে ছিলেন তিন মন্ত্রী শশী পাঁজা, বাবুল সুপ্রিয়, পার্থ ভৌমিক, এবং যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। এদিন স্বজনহারা পরিবারগুলির সঙ্গে সাক্ষাতের পর আসানসোলের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীকে কার্যত তুলোধোনা করেন শাসক দলের নেতানেত্রীরা। কম্বলের রাজনীতি করা হয়েছে বলে তোপ দাগলেন শশী পাঁজা, সায়নী ঘোষ। বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করে সায়নী ঘোষ বলেন, “কম্বল বিলি করে ভোট কিনতে গিয়েছিলেন? দেখবেন, আপনার দেওয়া কম্বল গায়ে দিয়ে ওঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেবেন। সেদিন যাঁরা ওঁদের কম্বল নেওয়ার জন্য ডেকেছিলেন, তাঁরা সেই ঘটনার পর কেউ আসেননি। শুভেন্দু অধিকারী পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যাননি।” শশী পাঁজার কটাক্ষ, “রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া দলগুলিই এমন কাজ করে।” সব মিলিয়ে, এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে যে বিজেপির বিরুদ্ধে জোর আক্রমণ শানাবে ঘাসফুল শিবির, সে কথা স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।
2. লালন শেখের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়। এবার কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে নোটিস পাঠাল রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। লালন শেখের মৃত্যু আদতে আত্মহত্যা নাকি হত্যা, সে সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজেই সিবিআই-এর তদন্তকারী আধিকারিককে ওই নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে খবর রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে। সিআইডি-র তরফ থেকে ওই নোটিসে প্রশ্ন করা হয়েছে, লালনের মৃত্যু হল কীভাবে? ঘটনার সময় ক্যাম্পে কারা ছিলেন, ক্যাম্পের ইনচার্জ কে এবং সিনিয়র তদন্তকারী আধিকারিক ছিলেন কি না। ক্যাম্পে সিসিটিভি ছিল কি না, তাও জানতে চেয়েছেন রাজ্যের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সিসিটিভি থাকলে সেই ফুটেজও চাওয়া হয়েছে। এই নোটিসের প্রেক্ষিতে সিবিআই কী জবাব দেয়, তার উপর নির্ভর করেই এগোবে পরবর্তী তদন্ত।
এদিকে রবিবার সকালে বগটুই গ্রামে গেলেন বীরভূমের তারকা তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। সিবিআই হেফাজতে থাকা অবস্থায় লালন শেখের মৃত্যুর প্রায় এক সপ্তাহ পর তাঁর বাড়িতে দেখা গেল শাসকদলের কোনও নেতাকে। আপ্লুত লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি বলেন, “আপনিই প্রথম এলেন। এখনও তো কেউ পাশে এসে দাঁড়ায়নি। আমরা আইনের ভরসায় লড়ছি। রাজ্যের উপর, বিচারব্যবস্থার উপর ভরসা আছে।” এই পরিস্থিতিতে লালনের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।