নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও কড়া অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ‘ভুয়ো নিয়োগ বাতিল না হলে তলব করা হবে শিক্ষামন্ত্রীকে’, হুঁশিয়ারি বিচারপতির। আসানসোল দুর্ঘটনায় স্বস্তি শুভেন্দু অধিকারীর। কলকাতা হাই কোর্টে বহাল রক্ষাকবচ। এফআইআর ছাড়াই হোক গ্রেপ্তার, তোপ কুণাল ঘোষের। শুভেন্দু-দিলীপ কোন্দলের মাঝেই কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই পুতিনকে ফোন মোদির। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৪৭০ রানে এগিয়ে ভারত।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও কড়া কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির দাবি, অবিলম্বে ভুয়ো নিয়োগ বাতিল করুক পর্ষদ। অন্যথায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে এজলাসে হাজিরার নির্দেশ দিতে পারেন তিনি, এমনই হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।
দু’দফায় বেআইনিভাবে সুপারিশ করা নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তালিকায় থাকা মোট ১৮৪ জনের মধ্যে ৮১ জন বর্তমানে চাকরি করেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯ জন শুক্রবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। মামলার শুনানি চলাকালীন এসএসসিকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “জুনিয়র নাকি সিনিয়র পি সি সরকারের হাতের জাদুতে নম্বর বাড়ল?” হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, খতিয়ে দেখতে হবে তাঁদের ওএমআর শিট। ন’জনের আইনজীবী, কমিশনের চেয়ারম্যান ও আইনজীবীকে নিয়ে বৈঠক করে আগামী বুধবারের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির ভার যাওয়ার পরেই গ্রেপ্তার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার কি তবে ব্রাত্য বসুকেও তলব করা হবে হাই কোর্টে? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারির পর স্বাভাবিকভাবেই মাথাচাড়া দিল সেই জল্পনা।
2. কলকাতা হাই কোর্টে বহাল রইল শুভেন্দু অধিকারীর রক্ষাকবচ। এফআইআর করতে চাইলে যথাযথ বেঞ্চে আবেদন করতে হবে রাজ্যকে। আপাতত বিচারপতি রাজশেখর মান্থার দেওয়া রক্ষাকবচে কোনও অন্তর্বতী নির্দেশ নয়, শুক্রবার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ৩ সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানি।
শুভেন্দুর কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আসানসোলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতার গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব হয়েছে তৃণমূল। এদিকে এর আগেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বিরুদ্ধে থাকা মোট ২৬টি এফআইআর আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা। মামলায় সমস্ত এফআইআরে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। পাশাপাশি, হাই কোর্টের অনুমতি ছাড়া শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন করে আরও কোনও এফআইআর করা যাবে না বলেও নির্দেশ দেন তিনি। এই রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েই এবার মামলার আরজি জানিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের মতো হাই কোর্ট থেকেও ফিরতে হল খালি হাতেই। এদিকে এফআইআর ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হোক শুভেন্দুকে, নিজের গ্রেপ্তারির উদাহরণ টেনে দাবি করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।