‘ছদ্মবেশী’ সিনেমার সেই বিখ্যাত গানটি মনে আছে? গাড়ির ড্রাইভার-বেশী উত্তমকুমারের সঙ্গে ভদ্রঘরের মেয়ে মাধবী পালিয়ে গিয়েছেন, সেই ঘটনায় একেবারে ঢি ঢি পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেইসব সামাজিক রক্তচক্ষু যে প্রেমকে দমিয়ে রাখতে পারে না, সে কথাই প্রমাণ করে দিয়েছেন পাকিস্তানের এই বছর চব্বিশের তরুণী। বয়স, সামাজিক অবস্থান, সবকিছুর বাধাকে প্রেমের জোরেই উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। আসুন, শুনে নেওয়া যাক এই প্রেমের গল্প।
প্রেমিকের বয়স ৫০। পেশায় বাস ড্রাইভার। কিন্তু কোনও কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি প্রেমের ক্ষেত্রে। ‘ও এমনভাবে বাস চালায় যে তা দেখেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম’, রাখঢাক না করেই স্পষ্ট জানিয়েছেন পাকিস্তানের এই তরুণী। হ্যাঁ, পেশায় বাসচালক এক পুরুষেরই প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। তার উপরে সেই প্রেমিকের বয়স আবার তাঁর দ্বিগুণ। কিন্তু ওই ব্যক্তির প্রেমে এমনই হাবুডুবু খেয়েছেন তরুণী যে কোনও কিছুকেই বাধা বলে মানেননি। বয়সের বাধাই হোক কিংবা শ্রেণিগত অবস্থানের সূত্রে বৈষম্যের জের, সবকিছুই হার মেনেছে তাঁর প্রেমের জোরে। শেষমেশ ৫০ বছর বয়সের এই বাসচালককেই বিয়ে করেছেন ওই তরুণী। সম্প্রতি এক ইউটিউবারকে নিজেদের প্রেমের গল্প বলেছেন তাঁরা। আর সেই সূত্রেই সে কথা ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়।
আরও শুনুন: কমবয়সি মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের ঝোঁক, পুরুষদের প্রবণতাকে তুলোধোনা মিয়া খালিফার
পাকিস্তানের পঞ্জাব রাজ্যের চান্নু থেকে লাহোর পর্যন্ত প্রতিদিন বাসে যাতায়াত করতেন শেহজাদি নামে ওই তরুণী। আর সেই সূত্রেই সাদিক নামের ওই ব্যক্তিকে দেখেন তিনি। তাঁর কথায়, সাদিকের কথা বলার ধরন, তাঁর বাস চালানোর ধরন, তাঁর হাবভাব সবই মনে ধরেছিল আমার। যাতায়াতের পথে সবসময় পুরনো দিনের ভালবাসার গান চালাতেন সাদিক। আর সেইসব গানই যেন দুজনের মধ্যে অজান্তে আরও ভালবাসা ছড়িয়ে দিয়েছিল। শেষমেশ সাহসে বুক বেঁধে প্রেমের প্রস্তাবটা দিয়েই ফেলেন শেহজাদি। আর তাতেই বুঝতে পারেন, এ প্রেম তাঁর একতরফা নয়। কিন্তু বয়সের এত ব্যবধান নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলেন সাদিক। তবে শেহজাদির অধ্যবসায়ের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয় তাঁকে। ওই তরুণীর মতে, প্রেমে বয়স কোনও বাধা হতে পারে না। দুজনের মত মিলে যেতেই সিনেমার মতোই হ্যাপি এন্ডিং হয়েছে তাঁদের গল্পের।
আরও শুনুন: প্রেমের পাঁচালি! স্বামী ঘুমোলে যেতেন তরুণ প্রেমিকের কাছে, প্রত্যাখ্যান পেয়ে কী করলেন মহিলা?
পাকিস্তানের এক ইউটিউবারের সূত্রেই এই প্রেমকাহিনি ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়। ওই অসমবয়সি দম্পতিকে সমর্থন জানিয়েছেন নেটিজেনরাও। প্রকৃত ভালবাসা যে সব বাধাকেই পেরিয়ে যেতে পারে, সে কথাই বলছেন তাঁরা।