ঠিক যেন এক বাক্স রংপেনসিল! মুখভর্তি উদ্ভট ট্যাটুর দৌলতে মহিলাকে নিষিদ্ধ করল পানশালা

শখের বশে মানুষ কত কিছুই না করে! তবে সেই শখের মাশুল গুনতে হলে তো উলটো বিপত্তি। আর ঠিক তেমনটাই ঘটেছে এই মহিলার সঙ্গে। ট্যাটু করতে ভীষণ ভালবাসেন এই মহিলা। তাই নিজের শরীরের বিভিন্ন অংশ নানারকম ট্যাটু করে ভরিয়ে ফেলেছেন তিনি। এমনকি বাদ পড়েনি মুখও। মুখ আর সারা শরীর জুড়ে মোট ৮০০টি ট্যাটু রয়েছে তাঁর। আর এই শখের দৌলতেই বড়দিনের উৎসবের মরশুমে রীতিমতো বিপাকে পড়ে গিয়েছেন মেলিসা স্লোন নামের ওই মহিলা।

আরও শুনুন: সদ্যোজাত মেয়ের গর্ভেও রয়েছে ভ্রূণ, প্রসবের পর হতবাক মহিলা

এমনিতে বডি আর্টের উপর মানুষের আকর্ষণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে ট্যাটু করা এখন ফ্যাশনের জনপ্রিয় ট্রেন্ড। রুপোলি দুনিয়ার তারকা থেকে খেলার মাঠ মাতানো ফুটবলার বা ক্রিকেটারেরা, কে নেই এই দৌড়ে! তাঁদের সঙ্গে এই শখের ভিড়ে শামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষেরাও। তবে বছর ৪৫ বয়সের এই মহিলার শখ বোধহয় একটু বাড়াবাড়ি রকমেরই। সাত সন্তানের মা ওই মহিলা অনলাইনে একটি ট্যাটু করার যন্ত্র কিনেছিলেন। আর তারপরই তাঁর শখের পালে হাওয়া লাগে। সপ্তাহে অন্তত বার তিনেক যন্ত্রটি কাজে না লাগাতে পারলে তাঁর মন ভরে না, এমনটাই জানিয়েছেন ওই মহিলা। আর এর ফলেই তাঁর সারা শরীর ভরে উঠেছে রংবেরঙের রকমারি ট্যাটুতে।

আরও শুনুন: হাতে বন্দুক পরনে বিকিনি, মডেলের মতো ছবি তুলে বিপাকে মহিলা পুলিশকর্মী

কিন্তু মহিলার এই শখকে খুব একটা ভাল চোখে দেখেন না তাঁর চেনাপরিচিতরা। তাঁকে আড়ালে রংপেনসিলের বাক্সের সঙ্গেও তুলনা করে থাকেন তাঁরা। আর তার ফলেই কোনও পার্টিতে তাঁর আমন্ত্রণ মেলে না বলে দাবি করেছেন ওই মহিলা। আর এবার, বড়দিনের ঠিক আগে আগেই, তাঁর পানশালায় যাওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মহিলা জানিয়েছেন, যেহেতু তাঁর কোনও ক্রিসমাস পার্টিতে যাওয়ার সুযোগ হয় না, তাই একা একাই কোনও পানশালায় গিয়ে নিজের মতো বড়দিন উদযাপন করার কথা ভেবেছিলেন তিনি। এবার বাধা পড়ল তাতেও।

কিন্তু এসব নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নিজের শখটিকে বিসর্জন দিতে মোটেই রাজি নন ওই মহিলা। শুধু বাইরের বিধিনিষেধ নয়, এর জেরে শারীরিক ক্ষতিও হচ্ছে তাঁর। ত্বকের কিছু কিছু অংশ খসে পড়ছে। তবুও নিজের শরীরকে রঙিন করা বন্ধ করতে নারাজ মেলিসা।