বেছে বেছে মহিলা কর্মীদেরই বেশি করে ছাঁটাই করেছেন এলন মাস্ক। এমন অভিযোগেই এবার সরব হলেন টুইটার থেকে বাদ পড়া মহিলা কর্মীরা। শুধু মৌখিক অভিযোগই নয়, সরাসরি আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
টুইটার থেকে ছাঁটাইয়ের জেরে এবার আক্ষরিক অর্থেই কাঠগড়ায় এলন মাস্ক। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা। বেছে বেছে মহিলা কর্মীদেরই বেশি করে ছাঁটাই করেছেন এলন মাস্ক, এই অভিযোগ তুলে মার্কিন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সংস্থার দুই প্রাক্তন মহিলা কর্মী।
আরও শুনুন: কমবয়সি মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের ঝোঁক, পুরুষদের প্রবণতাকে তুলোধোনা মিয়া খালিফার
প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা দিয়ে টুইটার অধিগ্রহণ করার পরেই সংস্থাকে ঢেলে সাজাতে শুরু করেন নতুন অধিকর্তা। সেই প্রক্রিয়ায় রাতারাতি প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মীকে চাকরি থেকে বিদায় দিয়েছিলেন এলন মাস্ক। যা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। ঘটনার প্রায় মাসখানেক পেরিয়ে যাওয়ার পর এবার তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি আইনি পথেই হাঁটলেন সংস্থার ওই দুই মহিলা কর্মী, ক্যারোলিনা বার্নাল স্ট্রিফলিং এবং উইলো রেন তুর্কাল। তাঁদের মতো আরও যেসব মহিলা কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে, সকলের হয়েই সুর চড়িয়েছেন তাঁরা। সানফ্রান্সিসকো ফেডেরাল কোর্টে তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন, এই বিপুল ছাঁটাই পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের উপরে বেশি প্রভাব ফেলেছে। মহিলা কর্মীদের ক্ষেত্রে ছাঁটাইয়ের হার প্রায় ৫৭ শতাংশ। পুরুষ কর্মীদের ক্ষেত্রে এই হার ৫০ শতাংশ বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। আর এই ইস্যুতেই তাঁদের অভিযোগ, বেছে বেছে মহিলা কর্মীদেরই বেশি করে ছাঁটাই করেছেন এলন মাস্ক।
আরও শুনুন: পোষ্যকে গাড়িতে রেখে দোকানে মালিক, অবাক করা কাণ্ড ঘটাল ‘চালক’ কুকুর
গোটা নভেম্বর মাস জুড়েই টুইটারে ছাঁটাই প্রক্রিয়া চলেছে। যে সব কর্মী এলন মাস্কের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন চাকরি হারিয়েছিলেন প্রায় সকলেই। পাশাপাশি মাস্ক হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, টুইটারে কাজ করতে গেলে দিনের লম্বা সময় জুড়ে ‘কঠোর পরিশ্রম’ করতে হবে। আর এই শর্তে রাজি না থাকলে কর্মীদের ইস্তফা দিয়ে কোম্পানি ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গ তুলেই এবার এই মামলায় জানানো হয়েছে, যেসব মহিলাদের সন্তান রয়েছে, বা যাঁরা পরিবারকেও সময় দিতে চান, তাঁদের পক্ষে মাস্কের শর্ত মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। উপরন্তু বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যেই মহিলাদের প্রতি বৈষম্যমূলক একাধিক মন্তব্য করেছেন এলন মাস্ক। আর সেই মনোভাবেরই প্রকাশ দেখা গিয়েছে তাঁর সংস্থায় ছাঁটাইয়ের সময়ে, এমনটাই দাবি অভিযোগকারিণীদের।