মোটে বছরখানেক বয়স। এর মধ্যেই লম্বায় সে প্রায় ১ মিটার। আড়ে-বহরে যা দাঁড়িয়েছে, তাতে একটা কুকুরের থেকে কম কিছু নয়। অথচ সে আসলে একটি বিড়াল। আর এই লম্বা পোষ্যটিকে নিয়েই বিশ্ব রেকর্ডের স্বপ্ন দেখছেন তার মালকিন।
বাড়িতে আছে খান তিনেক পোষ্য। দুটি কুকুর, আর একটি বিড়াল। এমনিতে তাঁদের মধ্যে মিলমিশ ভালই। একটু-আধুটু খিটিমিটি যে বাধে না, তা নয়। তবে মোটের উপর খেলাধুলো করে সবাই একজোট হয়েই থাকে। তবে তিন পোষ্যের মধ্যে বিড়ালটিই সকলের নজর কেড়ে নেয়। কেননা, বছরখানেকের বয়সের এই বিড়াল লম্বায় প্রায় ১ মিটার।
আরও শুনুন: হাত ফসকে খাবার পড়ল মেট্রোয়, নিজে হাতে পরিষ্কার করে প্রশংসা কুড়োল খুদে
পোষ্যটিকে নিয়ে তাই গর্বের শেষ নেই মালকিন সারিটা ব্রেউইনের। আদর করে বিড়ালটির নাম রাখা হয়েছে মারফি। তা মারফিকে নিয়েই মশগুল বাড়ির সকলে। বিশেষ করে সারিটার কন্যা ট্যামির তো প্রিয় বন্ধু এই পোষ্যই। পুঁচকে বিড়াল ছানাটিকে যখন বাড়িতে আনা হয়েছিল, তখন কেউ ভাবেননি যে, সে লম্বায় এতটা বড় হবে। যত বয়স বাড়তে থাকে, ততই সে চমকে দিতে থাকে বাড়ির সকলকে। ১২ পেরিয়ে ১৩ মাসে পড়েছে এখন মারফি। এখনই লেজ থেকে মাথা পর্যন্ত হিসাব করলে সে প্রায় ১০৪ সেমি লম্বা। ওজন প্রায় ১১ কেজি। অনেকেই তাঁকে কুকুর ভেবে ভুল করে বসেন। এমনকী পশু চিকিৎসকের কাছে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিড়ালের জন্য নির্ধারিত ক্যারিয়ারে আর তাকে বসানো যায়। কুকুরদের জন্য বরাদ্দ বড়সড় ক্যারিয়ারই ভরসা।
আরও শুনুন: ঠোঁটে ঠোঁট রেখে রেকর্ড, ৫৮ ঘণ্টার দীর্ঘতম চুম্বনে গিনেস বুকে নাম দম্পতির
মারফির খাওয়া-দাওয়ার খরচও বেশ ভালো। মাসে তার পিছনে খরচ প্রায় ৬০ পাউন্ড। আর মারফি বলতে গেলে একটি খাই-খাই স্বভাবের। ইতিমধ্যে তার জন্য বরাদ্দ খাবার ছাড়া আরও বেশ কিছু জিনিস টেস্ট করে দেখেছে। কীরকম? গতবার বড়দিনের সময় আলোর মালায় সাজানো হয়েছিল গোটা বাড়ি। মারফি তা আয়েশ করে চিবিয়ে দেখেছে। এ ছাড়া আইফোনের একটি কেবলও সে মনের আনন্দে খাওয়ার চেষ্টা করেছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০ পাউন্ড গচ্চা। তবে মারফির উপর বাড়ির কেউই রেগে নেই একটুও। কেননা পোষ্য যে বিশ্ব রেকর্ডের দিকে এগোচ্ছে, সেদিকেই চোখ সকলের। বিশ্বের সবথেকে লম্বা বিড়ালের রেকর্ড যার দখলে, তার দৈর্ঘ্য ছিল ১২৩ সেমি। অর্থাৎ সামান্যই পিছনে আছে মারফি। আর সেদিকেই চোখ রেখেছেন তার মালকিন। মারফি যে একদিন বাড়ির দরজায় বিশ্ব খেতাব বয়ে আনবে, এমনটাই প্রত্যাশা তাঁদের।