কে মা, আর কে মেয়ে! নেটদুনিয়ায় তাঁদের দেখে প্রায়শই গোলমাল হয়ে যায় নেটিজেনদের। আর সেই ধাঁধাতেই বেশ মজা পেয়েছেন তাঁরা দুজনে। শেষমেশ দুজনের পরিচয় খোলসা হতে একটু অবাকই সকলে। মা, অর্থাৎ ৪৫-এর মহিলাকে দেখে কিছুতেই যেন বয়সের আঁচ পাওয়া যায় না। নেটপাড়া তাই তাঁর নাম দিয়েছে ‘হটেস্ট মম’। আসুন শুনে নিই তাঁর কথা।
মজা করেই কাজটা করেছিলেন বছর উনিশের তরুণী। মায়ের সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। অবশ্য তার একটা কারণ আছে। তরুণীর মা-কে দেখে কিছুতেই বোঝা যায় না যে, তিনি চল্লিশ পেরিয়েছেন। স্বাভাবিক গড়নেই তাঁকে খানিকটা কমবয়সিদের মতো দেখতে লাগে। আর নিজের শরীরের যত্নও নেন তিনি। সব মিলিয়ে যে ভুল হবার কথা, তাই-ই হল। নেটমাধ্যমে তাঁদের দুজনকে একসঙ্গে দেখে পরিচয় গোলমাল করে ফেললেন অনেকেই। কেউ কেউ বললেন, উনি আসলে তরুণীর দিদি।
আরও শুনুন: ঠোঁটে ঠোঁট রেখে রেকর্ড, ৫৮ ঘণ্টার দীর্ঘতম চুম্বনে গিনেস বুকে নাম দম্পতির
গল্পটার শুরু হল এখান থেকেই। ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা জোলিন একজন স্কুলশিক্ষিকা। ঘরে আছে উনিশের কন্যা। সব মিলিয়ে ভরা সংসার। কিন্তু নেটদুনিয়ার এই প্রতিক্রিয়া যেন তাঁর সামনে অন্য এক দুনিয়ার দরজা খুলে দিল। এমনিতে নিজের শরীর সম্পর্কে বেশ সচেতন তিনি। ত্বকে যাতে বয়সের ছাপ না পড়ে তার জন্য বিস্তর পড়াশোনা করেছেন। আর সেই সব পদ্ধতি তিনি মেনেও চলেন। নিজে ডায়েট মেনটেন করেন। পর্যাপ্ত ঘুম যাতে হয়, সে ব্যাপারেও খেয়াল রাখেন। বলতে গেলে, বিনোদুনিয়ার একজন মডেলের মতোই তিনি এই ব্যাপারে সদা-সর্বদা সচেতন। তবে নেটপাড়ায় যে তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন সে কথা ভাবেননি।
আরও শুনুন: প্রতি কেজির দাম ৮৫ হাজার টাকা, সোনার থেকেও মহার্ঘ বিশ্বের সবথেকে দামি সবজি
মেয়ের ওই পোস্টের পর তাঁরও যেন নেশা চেপে বসল। নিজের নানা ছবি পোস্ট করতে থাকেন। হু হু করে বাড়তে থাকে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা। তিনি যে একজন উনিশের তরুণীর মা, সে কথা যেন কেউ বিশ্বাসই করতে চান না। আর যদি বা বিশ্বাস করেন, তবে তাঁরা বলেন, নেটদুনিয়ায় তিনিই হলেন ‘হটেস্ট মম’। সৌন্দর্যে আর শারীরিক গড়নে অনায়াসে টেক্কা দিতে পারেন তরুণীদের। জনপ্রিয়তার এই স্বাদ মন্দ লাগছে না জোলিনের। এমনকী অল্পবয়সিরাও যে তাঁর সৌন্দর্যে কুপোকাত, তা বেশ উপভোগই করেন তিনি। তবে স্রেফ নিজের জনপ্রিয়তা নয়, পাশাপাশি আরও একটা মিথ ভাঙছেন জোলিন। সংসার কিংবা সন্তানের চাপে যে মহিলাদের নিজের শরীরের যত্ন নিতে নেই বা রূপচর্চা করতে নেই, এমন তো কোনও কথা নেই। তবে অধিকাংশ মহিলারাই সে সুযোগ হয় না। জোলিন যেন দেখিয়ে দিচ্ছেন, পারিবারিক পরিচিত বা সামাজিক পরিচিতির বাইরেও সকলেরই একটা স্বতন্ত্র অবস্থান আছে। আর তাই নেটদুনিয়ার ‘হটেস্ট মম’ হয়ে থাকতে বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই তাঁর।