বিয়ের আগে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া অপরাধ। অপরাধ পরকীয়া সম্পর্কও। এই মর্মেই এবার আইন আনতে চলেছে ইন্দোনেশিয়া। স্বামী ছাড়া অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হলেই হতে পারে কারাবাস। একই নিয়ম অন্য মহিলার সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়া বিবাহিত পুরুষের ক্ষেত্রেও। কী বলা হয়েছে সেই আইনে? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
বিয়ের আগে যৌনতা নৈব নৈব চ! আর বিয়ে করার পর? অন্যের স্ত্রী কিংবা স্বামীর সঙ্গে বেশি মাখামাখি করলে তার মাশুল গুনতে হবে ভালমতোই। হ্যাঁ, এই মর্মেই নতুন আইন আনতে চলেছে ইন্দোনেশিয়া। আইন অনুসারে, বিয়ের আগে কোনও যুগল যদি যৌনতায় লিপ্ত হন, তাহলে তাঁদের এক বছর পর্যন্ত জেলও হতে পারে। পাশাপাশি বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রেও একইরকম কড়া অবস্থান নিতে চলেছে সে দেশ।
আরও শুনুন: হার মানবে সিনেমাও! জীবনবিমার ২ কোটি টাকা পেতে স্ত্রীকে খুনের নিখুঁত ছক ব্যক্তির
বর্তমানে আনুষ্ঠানিক বিয়ে না করেও লিভ ইন করতে অভ্যস্ত অনেক যুগলই। কেউ বিয়ের প্রথাগত ভাবনায় বিশ্বাস রাখেন না, কেউ আবার সাত পাকে বাঁধা পড়ার আগে সঙ্গীকে সবরকম ভাবেই যাচাই করে নিতে চান। কিন্তু এই ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের পথেই এবার দেওয়াল তুলে দিতে চাইছে এশিয়ার এই দেশটি। এই আইন অনুযায়ী, বিয়ের আগে যৌনতায় লিপ্ত হতে পারবেন না কোনও মানুষ। আবার বিয়ের পরেও নিজের সঙ্গীর বদলে অন্য কারও সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে জুটবে কড়া শাস্তি। কোনও পুরুষ যদি নিজের স্ত্রী ব্যতীত অন্য কোনও মহিলার সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হন, আবার কোনও মহিলাও যদি নিজের স্বামী ব্যতীত অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটিয়ে বসেন, উভয় ক্ষেত্রেই মোটা টাকার জরিমানা কিংবা এক বছর পর্যন্ত কারাবাসের শাস্তি হতে পারে। তবে যিনি এই ঘটনা ঘটাচ্ছেন, তাঁর সঙ্গী অথবা মা-বাবা অভিযোগ জানালে তবেই তা খতিয়ে দেখবে প্রশাসন। অর্থাৎ কোনও বিবাহিত পুরুষ বা মহিলা তাঁর স্ত্রী অথবা স্বামী পরকীয়া করলে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। এমনকি কোনও অভিভাবক যদি দাবি করেন, তাঁর সন্তান বিয়ে না করেই বিপরীত লিঙ্গের কারও সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত, তাহলেও যুগলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।
আরও শুনুন: বিয়ের আসরে উচ্চবর্ণের ঝামেলার ভয়, দাঁড়িয়ে থেকে দলিত কন্যার বিয়ে দিলেন ৬০ পুলিশকর্মী
কেবল দেশবাসীর ক্ষেত্রেই নয়, দেশের বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম লাগু করতে চায় ইন্দোনেশিয়া। বিশ্বের সামনে দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্যই এহেন আইনের প্রয়োজন, এমনটাই দাবি করা হয়েছে সে দেশের প্রশাসনের তরফে। কিন্তু পর্যটকদের প্রিয় এই দেশটিতে এহেন বিধিনিষেধ জারি করলে আদতে দেশের পর্যটন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন অনেকে। তিন বছর আগেও এই আইনের প্রস্তাব আসার পর দেশজুড়ে বিরোধিতার ঝড় উঠেছিল। এবার এই প্রস্তাবের পরিণতি কী হয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকেরা।