বিজ্ঞানীদের কাছে সে ইতিমধ্যেই বিলুপ্ত। কারণ বিগত ১৪০ বছর ধরে কেউ দেখতে পায়নি তাঁকে। হঠাৎ এতদিন পর আবারও ক্যামেরায় ধরা দিল এই বিশেষ প্রজাতির পায়রা। আর তার জেরেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিজ্ঞান মহলে। কীভাবে ফিরে এল এই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া পাখি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
প্রায় ১৪০ বছর পর ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ব্ল্যাক নেপড পেজ্যান্ট (Black-Naped Pheasant)। বিজ্ঞানের ভাষায় যা পায়রার এক বিশেষ প্রজাতির নাম। আপাতভাবে এই নাম সাধারণ মানুষের কাছে অপরিচিত হলেও বিজ্ঞানমহলে এখন এর আলাদা গুরুত্ব। জানা যাচ্ছে প্রায় ১৪০ বছর পর আবার বিশেষ প্রজাতির এই প্রাণীটির দেখা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাই বিজ্ঞানীদের কাছে নতুন করে এর দেখা পাওয়া রূপকথার ইউনিকর্ন খুঁজে পাওয়ার সমতুল্য মনে হয়েছে।
আরও শুনুন: প্রতি কেজির দাম ৮৫ হাজার টাকা, সোনার থেকেও মহার্ঘ্য বিশ্বের সবথেকে দামি সবজি
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক পাখি সংরক্ষণ কেন্দ্র কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে মিলে একটি উদ্যোগ নেয়। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিগত ১০ বছর ধরে দেখতে না পাওয়া পাখির খোঁজ করা। এই উদ্যোগের নামও দেওয়া হয় ‘দ্য সার্চ ফর লস্ট বার্ডস’। বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে তাঁরা খোঁজ শুরু করেন প্রায় বিলুপ্ত হিসেবে ধরে নেওয়া পাখিগুলির। প্রাথমিক তদন্তের পর তাঁরা জানতে পারেন পৃথিবীতে অন্তত ১৫০টি এমন প্রজাতির পাখি রয়েছে, যাদের শেষ দেখা গিয়েছে প্রায় এক দশকেরও বেশি আগে। যে তালিকায় প্রথমের দিকেই রয়েছে ব্ল্যাক নেপড পেজ্যান্ট নামে পায়রাটি। স্বাভাবিক ভাবেই শুধুমাত্র এই পাখিটিকে জন্যই খোঁজ শুরু করে একটি দল। ৮ সদস্যের সেই দল বিভিন্ন জঙ্গলে ঘুরে খুঁজতে থাকে প্রাণীটিকে। জঙ্গলে বসবাসকারী বিভিন্ন উপজাতির মানুষের কাছেও সেই পাখিটির বর্ণনা দিয়ে জানতে চান তাঁরা। এমনই একদিন পাপুয়া নিউগিনির ফার্গুসন নামে এক দ্বীপের বাসিন্দারা এই বিশেষ পাখিটিকে শনাক্ত করে দাবি করেন, কিছুদিন আগেই এই পাখিটি তাঁরা দেখেছেন। সেই বয়ান শুনেই ঐ দ্বীপের বিভিন্ন প্রান্তে ভিডিও ক্যামেরা লাগিয়ে দেন। প্রথম কিছুদিন বিভিন্ন জন্তুর দেখা মিললেও পাখিটির নাম গন্ধ ছিল না। অবশেষে হঠাৎ একদিন ফার্গুসন আইল্যান্ডের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট কিলকেরানের পশ্চিম ধাপে রাখা ক্যামেরায় ধরা পড়ে বিরল এই পাখিটি। ১৪০ বছর এই পাখিটির দেখা পেয়ে রীতিমতো অবাক গোটা বিশ্বের বিজ্ঞান মহল।