মুলতুবি মমতা-অমিত বৈঠক। বিশেষ কারণে নবান্নে আসছেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্থগিত ৫ নভেম্বরের পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক। প্রভাবশালী গেরোতেই ফের আটকে অনুব্রত। গরুপাচার মামলায় মিলল না জামিন। জোরকদমে চলছে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি। নজরে খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে আলোচনা। গরু পাচার ইস্যুতে চাঞ্চল্যকর দাবি বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. আপাতত মুখোমুখি বৈঠক হচ্ছে না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ৫ নভেম্বর নবান্নে পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করার কথা ছিল খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। বাংলা, ওড়িশা, বিহার এবং ঝাড়খণ্ড- এই চার রাজ্য পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য। এই পরিষদের চেয়ারম্যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবং ভাইস চেয়ারম্যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ নভেম্বর নবান্নের সভাঘরে এই পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। প্রথামাফিক এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের। বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা ছিল চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরও। স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মুখোমুখি হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ নভেম্বর অমিত শাহ মন্ত্রকের একটি বিশেষ কাজে ব্যস্ত থাকবেন। তাই ওইদিন সম্ভবত তিনি নবান্নে আসতে পারবেন না। সেকারণে পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আপাতত স্থগিত রাখা হতে পারে। ইতিমধ্যেই মৌখিকভাবে নবান্নকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ফলে আপাতত মুলতুবি মমতা-অমিত সাক্ষাৎ। কবে পুনরায় ওই বৈঠকের আয়োজন করা হবে, সেটা এখনও জানানো হয়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে।
২। প্রভাবশালী তকমাতেই ফের জামিন আটকে গেল অনুব্রত মণ্ডলের। আগামী ১১ নম্ভেম্বর পর্যন্ত তাঁর জেল হেফাজতেরই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অনুব্রত মণ্ডলকে শনিবার সশরীরে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করা হয়। চার্জশিটে তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ের উল্লেখ নিয়ে আপত্তি জানান নেতার আইনজীবী। অসহযোগিতার অভিযোগ এবং প্রভাবশালী তত্ত্বের বিরোধিতাতেও সুর চড়ান তিনি। তাঁর প্রশ্ন ছিল, “উনি দলবদল করলে বা রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিলেই প্রভাবশালী তত্ত্ব সরে যাবে? তবেই মিলবে জামিন?” যদিও প্রথম থেকেই জামিনের আবেদন খারিজের পক্ষে জোরাল সওয়াল করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। শনিবার আরও কয়েকজন সাক্ষ্যের নাম সিডিতে জমা দেওয়া হয়। আইনজীবী জানান, তদন্ত এখনও চলছে। অনুব্রত প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাই তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করা হোক। শেষমেশ তদন্তকারী সংস্থার আবেদনই মঞ্জুর হয়। অনুব্রতর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে অনুব্রত। ১১ নভেম্বর আবার আদালতে তোলা হবে তাঁকে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।